সচিবালয়ে অফিস করলেন বীর বাহাদুর

Bandarban pic mp-13.1.2014

স্টাফ রির্পোটার :

দীর্ঘ ৩৭ বছর পর কেবিনেটে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে স্থান পাওয়া বান্দরবান জেলার গর্বিত সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিং সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রথম দিন সোমবার অফিস করলেন। রবিবার নবনিযুক্ত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের সাথে বঙ্গভবনে তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে কেবিনেট সদস্য হিসেবে এবারই তিনি প্রথম।

স্বাধীণতার পর ১৯৭৭ সালে জিয়া সরকারের আমলে খাদ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান অং শৈ প্রু চৌধুরী। এর টানা ৩৭ বছর পর কেবিনেটে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। স্বাধীণতা আগে ৬০ এর দশকে সেচ ও পানি সম্পদ মন্ত্রী ছিলেন বোমাং রাজা মং শৈ প্রু চৌধুরী।

আগে বান্দরবানের প্রায় সব ক’টি জন প্রতিনিধি হিসেবে বোমাং রাজ পরিবারের সদস্যরা নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন। তবে সাধারণ পরিবারের মধ্য থেকে ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রথমবার বীর বাহাদুর বান্দরবান আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আবারো বিজয়ী হন তিনি। ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি পরবর্তী সময়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীত্ব পান খাগড়াছড়ি আসনের সংসদ সদস্য কল্পরঞ্জন চাকমা।

২০০১ সালের নির্বাচনে বীর বাহাদুর আবারো বান্দরবান আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও বিএনপি সরকার গঠন করায় রাঙ্গামাটি থেকে নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্য মণি স্বপন দেওয়ান উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এ মন্ত্রণালয়ে। ২০০৮ সালে বীর বাহাদুর চতুর্থবারের মত টানা নির্বাচিত হলেও বৃহত্তর জেলার সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ করা হয় রাঙ্গামাটির দীপংকর তালুকদারকে। তিনিও নিযুক্ত হন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে।

বীর বাহাদুরকে ১৯৯৮ সালে উপমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রথমবার এবং ২০০৯ সালে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হলেও বান্দরবান জেলা থেকে যায় কেবিনেটের বাইরেই।

অবশেষ এবারই মন্ত্রীসভায় স্থান পেল বান্দরবান। দীপংকর তালুকদার এবার রাঙ্গামাটি আসন থেকে হেরে যাওয়ায় এবং খাগড়াছড়ি আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা জুনিয়র হওয়ায় টানা ৫ বারের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুরকে দেয়া হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। আর তাকে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের জন প্রতিনিধিত্বের ইতিহাসে রচিত হলো এক নতুন অধ্যায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন