সাগর পথে মালেশিয়াগামী আবারো ২১ যাত্রী পেকুয়ায় আটক

pic.1- pekua tana. malysia-21-09-14

পেকুয়া(কক্সবাজার) সংবাদদাতা :
১৪ দিনের মাথায় সাগর পথে মালেশিয়াগামী আবারো ২১ যাত্রীকে আটক করছে পেকুয়া থানা পুলিশ। থানা সূত্রে জানায় গত ২১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে সাগর পথে আদম পাচারকারী চক্র উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কুতুবদিয়া চ্যানেলের নৌ মোহনার মগনামা লঞ্চঘাট এলাকায় ২১ মালেশিয়াগামী যাত্রীকে ইঞ্জিন চালিত বোটে করে এনে নামিয়ে দেয়।

খবর পেয়ে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিরের নেতৃত্বে এস.আই্.আবদুল মতিন, এ.এস.আই.হাফেজ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে মালেশিয়াগামী ২১ যাত্রীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন। দালালের খপ্পরে পড়ে টাঙ্গাইলের ২ জন, নরসিংদী ৯ জন, গাজীপুরের ১ জন, বি বাড়িয়ার ২ জন, সিরাজগঞ্জ জেলার ৭ জন মোট ২১ জনকে অবৈধ পথে মালেশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ট্টলার করে সকাল সাড়ে ৭ টায় প্রচন্ড বৃষ্টিতে পেকুয়া উপজেলার মগনামা লঞ্চঘাটে নামিয়ে দেয়।

আটক ব্যাক্তিরা হলো টাঙ্গাইলের আলেকদ্বীপ এলাকার মুনির উদ্দিন বেপারীর পুত্র মো: আবদুল আলিম (২২), একই এলাকার শহীদ মন্ডলের পুত্র শামীম মন্ডল (২২), সিরাজগঞ্জের বেলকচি এলাকার মুনিরুল ইসলামের পুত্র মুনাউল্লাহ (২২), একই এলাকার দুলালের পুত্র ইব্রাহিম (২২), আপন প্রমানিকের পুত্র মুনিরুল ইসলাম (২০), মো.হোছাইনের পুত্র জুয়েল (২০), উল্লাপাড়ার মোতালেবের পুত্র বিল্লাল (১৮), নজরুল প্রমানিকের পুত্র মাজেদুল (১৮), হাড়িভাঙ্গার উল্লাপাড়ার মৃত ফজলুল হক প্রমানিকের পুত্র মামুন রানা (২০), চরইসলামপুর বিজয় নগর বি.বাড়িয়া এলাকার চানমিয়া মেম্বারের পুত্র সুমন (২০), তাজুল ইসলামের পুত্র আল আমিন (২০), নরসিংদীর কালাচান্দা এলাকার দুলালের পুত্র মোমেন (১৮), আবদুল বাতেনের পুত্র কাউছার (১৫), আবু হান্নানের পুত্র আবুতালেব (১৮), নরসিংদীর ঘোড়াদ্বীপের জহিরুল হকের পুত্র আজাদ (৩২), আবুতাহের মোল্লার পুত্র কামাল (৩০), শ্রীনগরের চানমিয়ার পুত্র আবদুল (৩৫), কালাকান্দার হাবিজ উদ্দিনের পুত্র জামান (২০), আলতাফ হোসেনের পুত্র হৃদয় মিয়া (১৮), বাদারপুরের আবদুল বাতেনের পুত্র বিল্লাল (২৫), গাজীপুরের আশুলিয়ার শরিফতউল্লাহর পুত্র মো.রাসেল (২০)।

আটক ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এক দালাল তাদের কে মালেশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শনিবার রাতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতু এলাকায় নিয়ে আসে। পরে তাদের মোবাইল ও সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে ওখান থেকে মধ্যরাতে ইঞ্চিন চালিত নৌকায় তুলে নদী পথে এনে এখানে নামিয়ে দেয়। তাদের লোকজন এসে এখান থেকে সরাসরি মালেশিয়ার একটি বোটে তুলে নিয়ে যাবে বলে মগনামা ঘাটে নামিয়ে দিয়ে দালালরা কেটে পড়ে।

একইভাবে গত ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় উপজেলার পশ্চিম উজানটিয়া ফরেষ্ট ম্যানগ্রেফ এলাকায় মালেশিয়াগামী ২০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের কে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল। কিন্তু ১৪ দিনের মাথায় আবারো অবৈধ পথে মালেশিয়াগামী ২১ যাত্রী কে উদ্ধার করছে পেকুয়া থানা পুলিশ। এলাকাবাসীর ধারণা মালেশিয়া আদম পাচারকারী চক্র বিভিন্ন এলাকার কম বয়সী যুবকদের কে মালেশিয়া পাঠানোর কথা বলে পেকুয়া উপজেলার উপক’লীয় ইউনিয়ন মগনামা ও উজানটিয়া কে প্রতারণার কেন্দ্রস্থল বলে চিহ্নিত করছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি আবদুর রকিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি আটকের কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন ধৃতদের কে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। এবং ধৃতদের কে তাদের আত্বীয়স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেবেন বলে ও জানান। তিনি আরো বলে পেকুয়ায় যদি এ ধরণের আদম ব্যবসায়ী থাকে তালিকা তৈরী করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন