সিরিজ জয়ে যাঁদের অবদান স্মরণীয়

fec-image

টি–টোয়েন্টির বর্তমান সময়ে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে এই সংস্করণেই বেশি নাজুক অবস্থায় বাংলাদেশ। এবার এই ধারণার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। সব সংস্করণ মিলিয়ে এটিই ইংলিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। ইতিহাস গড়া এই সিরিজ জয়ের শীর্ষ ৫ জনের স্মরণীয় অবদান দেখে নিন।

নাজমুল হোসেন:
চট্টগ্রামে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৫৭ রান। দুই ওভার বাকি থাকতেই যে লক্ষ্যটা পূরণ হয়ে গিয়েছিল, তাঁর মূলে ছিল নাজমুল হোসেনের ঝোড়ো ব্যাটিং। ৩০ বলে ৫০ রান তুলে জয় নাগালে নিয়ে এসেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। গতকাল টি–টোয়েন্টিতেও খেলেছেন ম্যাচের মেজাজ মেনে। মন্থর উইকেটে ১১৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে এক প্রান্ত আগলে রাখেন নাজমুল, মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে। এবার খেলেছেন ৪৭ বলে ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস।

মেহেদী হাসান:
একটিই ম্যাচ খেলেছেন, আর সেটিতেই ম্যাচসেরা। টানা চার টি–টোয়েন্টি বসে থাকার পর গতকালই সুযোগ মিলেছিল মেহেদী হাসান মিরাজের। বল হাতে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২৪ বলের ১৩টিই ছিল ডট, রান দিয়েছেন ১২। পরে ব্যাট হাতেও রাখেন অবদান। ২ ছয়ের সাহায্যে ১৬ বলে করা ২০ রান দলকে বল–রান লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়তে দেয়নি।

সাকিব আল হাসান:
প্রথম টি–টোয়েন্টিতে উজ্জ্বল ছিলেন ব্যাট হাতে, দ্বিতীয়টিতে বলে। চট্টগ্রামে দেড় শোর্ধ্ব রান তাড়ার পথে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন সাকিব, খেলেছিলেন ২৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। সেই ম্যাচে বল হাতে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। ৪ ওভারে খরচ করেছিলেন ২৬ রান, যা ইকোনমির দিক থেকে যৌথভাবে সেরা বোলিং ছিল। ঢাকায় দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন আরও আঁটসাঁট বোলিং। এবার ৩ ওভারে খরচ মাত্র ১৩ রান, তুলে নেন ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্টের উইকেট।

তাসকিন আহমেদ:
গতকাল ডেভিড ম্যালানকে আউট করে ইংল্যান্ডের ব্যটিংয়ে ধস নামানোর কাজটা শুরু করেন তাসকিন আহমেদ। আবার শেষ দিকে ক্রিস জর্ডানকে দুটি চার মেরে ম্যাচের শেষ আঁচড়টাও দেন তিনিই। অপরাজিত থাকেন ৩ বলে ৮ রান করে। সংখ্যার বিচারে বড় না হলেও প্রথম টি–টোয়েন্টিতেও উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল তাসকিনের। সেদিন ক্রিস ওকসকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য ডেথ ওভার–ঝড়ে বাধা সৃষ্টি করেন ডানহাতি এ পেসার।

হাসান মাহমুদ:
প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারই বল করেছিলেন ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে। দ্বিতীয় ম্যাচে অধিনায়ক বল তুলে দেন প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই। হাসান মাহমুদ আস্থার মর্যাদা রেখেছেন দুই পরিস্থিতিতেই। গতকাল যেমন প্রথম ওভার করতে এসেই দারুণ এক ইয়র্কারে বাটলারকে বোল্ড করেন। প্রথম ম্যাচেও ডানহাতি এ পেসারের শিকার ছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। সেদিন চট্টগ্রামের ব্যাটিং–বান্ধব উইকেটে ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন