সেগুন পাতায় পানছড়ির কোমলমতিদের চড়ুইভাঁতি

PIC PIC

স্টাফ রিপোর্টার:

জেলার পানছড়ির লোগাং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একঝাঁক কোমলমতি আয়োজন করেছে চড়ুইভাঁতির। শুক্রবার দিনব্যাপী লোগাং নিঝুম পার্ক সরগরম ছিল তাদের কিচির মিচির শব্দে।

সরেজমিনে লোগাং নিঝুম পার্কে গিয়ে দেখা যায় বাহারি পোশাকে এদিক ওদিক ও বালুর চরে নানান খেলা নিয়ে ব্যস্ত প্রায় ৪০জনের অধিক কোমলমতি শিশুর দল। আর রান্নার আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত বিদ্যালয় শিক্ষক নজরুল স্যার, মুক্তা ম্যাডাম ও নাছিমা ম্যাডাম। তাদের সহযোগিতা দিচ্ছে মতিন ভুইয়া।

এই প্রতিবেদককে দেখা মাত্রই ছুটে আসে শিশুর দল। সবার আবদার আমার একটা ছবি তোলেন। ছবি তোলার ফাঁকে কথা হয় ৫ম শ্রেণির জান্নাত, রিয়ামনি, প্রিমা, জুঁই, মিলি, রিজন, জবা, ৪র্থ শ্রেণির প্রীতি, জয়নব, আসমা, নয়ন, সাইমুন অরূপ, ৩য় শ্রেণির নুপুর, সাজেদা ও মুন্নার সাথে। তারা জানায় জনপ্রতি ৬০ টাকা চাঁদা তুলে আয়োজন করেছে চড়ুইভাঁতির। অবশিষ্ট টাকা স্যার ও ম্যাডামরা দিয়েছেন। পানছড়িতে কোন বিনোদনের ব্যবস্থা নেই তাই নিজেদের একটু খুশীর জোয়ারে ভাসাতেই বন্ধের দিনে তাদের এই আয়োজন বলে সবাই জানায়।

এরি মাঝে ম্যাডামদের ডাক পড়ে যায়, রান্না শেষ সবাই আস। আর দেরি নেই সবাই ছুটে চলেছে পাশে বয়ে যাওয়া চেংগী নদের কূলে। পিছনে পিছনে ছুটে গিয়ে দেখা যায় বড় বড় সেগুন পাতা কুড়াতে ব্যস্ত সবাই। জনপ্রতি ৪/৫ টি করে পাতা কুড়িয়ে বিছিয়ে শুরু করল সেগুন পাতার চড়ুইভাঁতি।

ডিম, তেলাপিয়া মাছ মছমছে ভাজি, মুরগীর মাংস ও সবজির সাথে সাদা ভাত। খেতে খেতে তাদের কতইনা দুষ্টুমি। বিকাল তখন সাড়ে তিনটা। সবাই নিজ নিজ প্লেট, গ্লাস ব্যাগে ভরে প্রস্ততি নিচ্ছে বাড়ি ফেরার। নজরুল স্যার, মুক্তা ম্যাডাম ও নাছিমা ম্যাডাম হিসাব করে দেখছে ঠিকমত সবাই বাড়ি ফিরছে কিনা। বিদায় বেলায় এই প্রতিবেদকের কাছে দাবি আমাদের পিকনিকের খবর পার্বত্য নিউজে আসবেতো?

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন