সেনাবাহিনীতে যুক্ত হলো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ‘এফ এম-৯০’

12345-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের আকাশ সীমানা প্রতিরক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স শাখায় প্রথমবারের মত সংযোজিত হয়েছে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ‘এফ এম-৯০’। মঙ্গলবার দুপুরে শক্তিশালী এ ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষামূলক নিক্ষেপ করা হয়।

ভূমি থেকে নিক্ষেপণ যোগ্য এ ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশে ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী শত্রু বিমান, হেলিকপ্টার, ক্রস মিসাইল, এন্টিরেডিয়েশন মিসাইলের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে আকাশ প্রতিরক্ষায় সক্ষম হবে।

মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ইনানী নিদানীয়া সমুদ্র সৈকতে ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষামূলক নিক্ষেপ করা হয়। ক্ষেপনাস্ত্রটি নিক্ষেপের কয়েক মিনিট পূর্বে আকাশে একটি ড্রোন উড্ডায়ন করা হয়। ওই ড্রোনটি ৩০কিলোমিটার দূরত্বে গিয়ে ফেরার পথে সাড়ে ৯কিলোমিটার দূরত্বে থাকাকালীন সময়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়। এবং সেখানেই ড্রোনটি ধ্বংস করা হয়।

৫ মিনিট পর আরও একটি ক্ষেপণান্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। তবে এসময় ড্রোন উড্ডায়ন করা হয় নি।

সেনাবাহিনীর এয়ারডিফেন্সের ‘অ্যাডহক শোরাডমিসাইল রেজিমেন্ট আর্টিলারি’ ইউনিট ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করেন। এটি নিক্ষেপে চীনা সেনাবাহিনীর একটি দল সার্বিক সহযোগিতা করেন। এ ক্ষেপণাস্ত্রটি চীন থেকেই এনেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এটিই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষায় এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র।

পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনা প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। এসময় সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সরকারি দপ্তরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অতিথিদের উপস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্র  নিক্ষেপ করা হয়।

এ সিস্টেমটি যুদ্ধকৌশলের অংশ হিসেবে আকাশ প্রতিরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন