সোলায়মান-কুজেন্দ্র সমঝোতা না হলে খাগড়াছড়িতে প্রসীত বিকাশের জয়লাভের সম্ভাবনা

 19.12.2013_KHT Election NEWS.Pic

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট :

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এক বিশেষ জটিল সমীকরণে পাহাড়ী-বাঙালী সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গী উষেকে দিতে চেষ্টা করছে একটি মহল। পার্বত্য চট্টগ্রামের নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপি’র ভোট বর্জন করায় জাপা নেতা সোলায়মান ও আওয়ামী নেতা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার মধ্যে সমঝোতা ভেঙ্গে যাওয়ায় জয়ের পাল্লা ভারী হয়ে উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ’র।

 বিশ্লেষকরা জানান, বর্তমান সরকার ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিকালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ নভেম্বর খাগড়াছড়ি সফরে আসেন এবং খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে জনসভা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা বয়কট করে ইউপিডিএফ এবং প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বাঁধা দেওয়ায় ৮টি উপজেলার ১৬টি মামলায় ৫০০শতাধিক ইউপিডিএফ ও পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীকে আসামী করার পরও ইউপিডিএফ এ নির্বাচনকে বর্জন না করে বরং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় পাহাড়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে। নিজেদেরকে নীতি-আদর্শ ভিত্তিক সংগঠন বললেও বর্তমানের বিতর্কিত নির্বাচনে ইউপিডিএফ অংশ নিয়েছে মূলত জয়ের উজ্জল সম্ভাবনা দেখেই। প্রথমবারের মতো ক্ষমতার স্বাদ পেতে তাই তারা নীতি-আদর্শের বালাই শিঁকেই তুলে জয়লাভে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। 

 ইউপিডিএফ’র একটি সূত্র জানায়, এ নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে ইউপিডিএফ প্রার্থী প্রসীত বিকাশ খীসা ‘হাতি’ প্রতীক জয়যুক্ত হবে। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়িতে মোট ভোটার সংখ্যার অর্ধেকাংশ উপজাতীয়। জেলা আওযামীলীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা মনোনয়নপত্র নেওয়ার জন্য লাভজনক পদ পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ঘোষণা মোতাবেক মনোনয়ন পেয়ে আবার কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে জাপা নেতা সোলায়মান শেঠের সাথে সমঝোতা এবং সর্বশেষ প্রার্থিতা টিকে যাওয়ায় আওয়ামীলীগের টিকেট নিয়ে এ লড়াইয়ে থাকায় সন্দেহের তীর কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার দিকে ঝুঁকেছে।আওয়ামীলীগ- সোলাইমান শেঠ কেন্দ্রীয় সমঝোতার কথা বলা হলেও কুজেন্দ্র লাল ঠিকই লড়ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে। ফলে নির্বাচন নিয়ে এক মহা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

 জেলা আওয়ামীলীগ সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার যেভাবেই হউক ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রে প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় সোলায়মান শেঠকে এ আসনটি দেওয়ায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা হতাশ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এরশাদকে ঘিরে কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় আপাতত: কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরাকে ধরে রাখা হয়েছে এবং তিনি এ নির্বাচন করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন, সোলায়মান শেঠকে সমঝোতার মাধ্যমে আসনটি ছাড়তে অনীহা দেখাচ্ছেন। তাছাড়া কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা পাজেপ চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় পার্বত্য জেলা পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে শুধুমাত্র কতিপয় ব্যক্তি ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়কে অধিক প্রাধান্য দেওয়ায় জেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে থাকা অন্যান্য সম্প্রদায়ভূক্ত লোকজন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার প্রতি খুব বেশী সন্তুষ্টও নন ।

নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্তে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে এ আসনে সোলায়মান শেঠকে সমর্থন করার নির্দেশ আসতে পারে বলে জাপা নেতা সোলায়মান আলম শেঠ একাধিকবার নির্বাচনী প্রচারণা পথসভা ও দলীয় সভায় বক্তব্যের মাধ্যমে বহি:প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কেন্দ্রে শক্তিশালী কিছু নেতা কুজেন্দ্র’র পক্ষে কাজ করায় শেষ মূহুর্তে তা নাও হতে পারে।

 ৫জানুয়ারী ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ির এ আসনে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ‘নৌকা’, এরশাদের নির্দেশ অমান্যকারী তথা জাপা’র বিদ্রোহী প্রার্থী খ্যাত সোলায়মান আলম শেঠ ‘লাঙ্গল’, ইউপিডিএফ’র সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রসীত বিকাশ খীসা ‘হাতি’ জনসংহতি সমিতি (সংস্কার) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মৃনাল কান্তি (বই), ও ইউপিডিএফ’র উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমার অনুপস্থিতিতে বরাদ্দকৃত প্রতীক (টেবিল) হলেও এখানে শুধুমাত্র নৌকা, লাঙ্গল ও হাতি প্রতীকের শো-ডাউন ঘটেছে।

 শো-ডাউনগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নৌকা প্রতীক নিয়ে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা সদরগুলোতে শো-ডাউন করেছেন। তদ্রুপ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সোলায়মান আলমী শেঠ বিভিন্ন গাড়ীর বহর নিয়ে সদর উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলায় শো-ডাউন করেছেন।কিন্তু সোলাইমান আলম শেঠ জেলায় বহিরাগত প্রার্থী হওয়ায় এবং জেলায় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক ভিত্তি খুবই দূর্বল হওয়ায় তার পক্ষে কেন্দ্রীয় আশির্বাদ ছাড়া জয়লাভের সম্ভাবনা ক্ষীণ। কুজেন্দ্র’র সমর্থকরা দাবী করছেন, টাকা ছিটিয়ে লাঙ্গলের প্রার্থী স্থানীয় গণমাধ্যম ও কিছু চিহ্নিত ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করলেও ভোটের বাক্সে এর প্রভাব পড়বে না।

 অন্যদিকে একমাত্র বাঙালী প্রার্থী হওয়ায় বাঙালী সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করলেও জেলার বিএনপি-জামায়াত ভোট বয়কটের আহ্বানের মধ্যে কি পরিমাণ বাঙালী ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাছাড়া বাঙালী ভোটার নির্ভর জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ আরেকজন বাঙালী প্রার্থীর উত্থানকে সরল চোখে দেখতে চাইছে না। তারা মনে করছেন, বর্তমান নির্বাচন সরকার সম্পন্ন করতে পারলেও তা খুবই স্বল্প মেয়াদী হবে। সেক্ষেত্রে এ নির্বাচনে বাঙালী প্রার্থী হিসাবে সোলাইমান শেঠ যদি জিতে যায় বা সম্মানজনক ভোট পায় তবে তা আগামী নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিএনপি’র একজন সিনিয়র নেতা এ প্রতিবেদককে এমনও বলেন যে, সোলাইমান শেঠ যদি এ নির্বাচনে জয়লাভ করে বা বিপুল সংখ্যক ভোট পায় তবে তা দেখিয়ে আগামী নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে বিএনপি’র মনোনয়নও সে কিনে আনতে পারে। সে ধরণের আর্থিক সামর্থ তার রয়েছে। কাজেই সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই বিএনপি সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি মনে করেন। 

 কিন্তু ইউপিডিএফ শুধুমাত্র নির্বাচনী মাইকিং অব্যাহত রাখলেও গোপনে গোপনে নির্বাচনী প্রচারণা ভালভাবে গুছিয়ে নিচ্ছেন। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ চলাকালেও ইউপিডিএফ সদর উপজেলা শহর এলাকাগুলোকে এত বেশী প্রাধান্য না দিয়ে ভোটার তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্রভিত্তিক তৃণমূল প্রচারণা শুরু করেছেন। দিঘীনালা উপজেলার মধ্যে বাবুছড়া ইউনিয়নের ১নং কেন্দ্র দ: বাবুছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ ৫টি কেন্দ্র এলাকার ভোটারদের নিকট নির্বাচনী বার্তা সু-কৌশলে পৌঁছে দিচ্ছেন। এভাবে করে বোয়ালখালী, দিঘীনালা, সদর, কবালখালী, মেরুং ইউনিয়নেও কাজ করছেন। খাগড়াছড়ি পৌরসভার মধ্যে পাহাড়ী অধ্যুষিত এলাকা- খবংপড়িয়া, দ: খবংপড়িয়া এলাকাগুলোতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। সদর উপজেলার ভাইবোনছছড়া ইউনিয়নের-কুড়াদিয়া ছড়া, জোরমরম, কুমারধন রোয়াজা পাড়া, মুনিগ্রাম, ভিজাকিজিং, গাছবান এলাকা, কমলছড়ি ইউনিয়নের ভূয়াছড়ি এলাকা ব্যতীত সবকটি ভোটার এলাকা, খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়নে-গামারী ঢালা, পেরাছড়া ইউনিয়নের-পল্টনজয় পাড়া, পেরাছড়া, দেবেন্দ্র মোহন কার্বারী পাড়া, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার-বর্মাছড়ি ইউনিয়ন, দুল্যাতলী ইউনিয়ন, লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের বাঙ্গালী অধ্যুষিত এলাকা ব্যতীত সবকটি ভোট এলাকা, মহালছড়ি উপজেলার ক্যায়াংঘাট পুরো ইউনিয়ন, মহালছড়ি ইউনিয়নের কিছু এলাকা, মাইসছড়ি ইউনিয়নের ৩টি ভোটার এলাকা হতে লেমুছড়ি, মুবাছড়ি ইউনিয়নের সবকটি এলাকা, সিন্দুকছড়ি এলাকার ডেবলছড়ি এলাকা ব্যতীত অন্য ২টি এলাকা, মানিছড়ি উপজেলার-বাটনাতলী ইউনিয়ন, যোগ্যাছোলা, তিনটহরী ইউনিয়নের বিশাল অংশ, মাটিরাঙ্গা উপজেলার-আলুটিলা এলাকা, বড়নাল ইউনিয়ন, গুইমারা ইউনিয়নের তৈমাতাই মৌজা, গোমতি ইউনিয়নের বলি চন্দ্র পাড়া, তাকার মনি পাড়া, তরুনী কুমার পাড়া এলাকা সমূহ, বড়নাল ইউনিয়নের তৈলাফাং মৌজা, অলোক চেয়ারম্যান পাড়া। বেলছড়ি ইউনিয়নের-কংজাই মার্মা পাড়া, মনু মেম্বার পাড়া, পানছড়ি উপজেলার চেংগী ইউনিয়ন, লতিবান ইউনিয়ন, উল্টাছড়ি ইউনিয়নের বৃহত্তর পাহাড়ী এলাকা, লোগাং ইউনিয়নে বৃহৎ অংশ, পানছড়ি সদর ইউনিয়নের পূজগাং এলাকা, রামগড় উপজেলার হাফছড়ি, পাতাছড়া ও রামগড় ইউনিয়নের একাধিক পাহাড়ী এলাকায় ইউপিডিএফ নির্বাচনী প্রচারণা জোরসোরে করেছেন। নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরা এখনও পর্যন্ত সদর এলাকা ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায় ও রিমোর্ট এরিয়াগুলোতে এখনও ভোটার ঘর পর্যায়ে পৌঁছায়নি।নিরাপত্তা ইস্যুতে তাদের পক্ষে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়াও সহজসাধ্য নয়। অভিযোগ রয়েছে, ইউপিডিএফ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কর্মীদের ভয় দেখিয়ে নিষ্ক্রিয় রাখতে ও তাদের পক্ষে কাজ করতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। লক্ষীছড়ির উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৮ আওয়ামীলীগ নেতার অপহরণ ও মুক্তির ঘটনায় তৃণমূলে ব্যাপকভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। একই সাথে তারা তাদের প্রভাবাধীন এলাকাগুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রাখতে যেকোনো পন্থা অবলম্বনে পিছপা হবে না বলে জানা গেছে।

 ইউপিডিএফ’র একটি সূত্র জানায়, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় বিএনপি সমর্থিত বা বাঙ্গালীদের ভোট হাতির পিঠে না পড়লেও পাহাড়ী এলাকার ভোট পাওয়া গেলেই জয় নিশ্চিত। পাহাড়ী অধ্যুষিত এলাকায় জোরেশোরে হাতি প্রতীকের নির্বাচনের প্রচারণা ও বার্তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সামাজিক সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ফেইসবুকও প্রচারনার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এক্ষেত্রে নৌকা ও লাঙ্গল শহর এলাকার কিছুটা ভোট ভাগাভাগি করলেই ইউপিডিএফ’র জন্য তা লাভজনক হয়ে দাঁড়াবে। এদিকে, নৌকার প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা নির্বাচনী প্রচারণা পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনের ছড়াছড়ি থাকলেও তৃণমূল পর্যায়ে এখনও তেমনভাবে যেতে পারেন নি।

 বিএনপি’র একটি সূত্র জানায়, আমরা ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দাবী রেখে আন্দোলনরত। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিএনপি’র সমর্থিত কোন ব্যক্তি এ নির্বাচনে ভোট প্রদান করবে না। আন্দোলন চলবে, আমরা ভোট বর্জন করেছি। জেলাবাসী মনে করে, বিএনপি নির্বাচনে না আসায় পাহাড়ী- বাঙ্গালীর ভোট বিবেচনায় ভোট হলে ইউপিডিএফ’র প্রার্থীর জয়যুক্ত হওয়া সুবর্ণ সুযোগ। তাই ইউপিডিএফ খাগড়াছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিরোধিতা করলেও তার আহ্বানে নীতি বিসর্জন করে হলেও এ সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রথমবার সংসদে যাবার স্বপ্ন দেখছে।

 

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন