স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই সংঘাতের প্রকৃত সমাধান: জাতিসংঘ প্রধান

fec-image

হামাসের হামলার বিপরীতে ইসরাইলের পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত উভয়পক্ষে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজারো মানুষ। চলমান যুদ্ধে অবরুদ্ধ গাজার বেসামরিক নাগরিক, হাসপাতাল, স্কুল এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কার্যালয়সহ বেসামরিক অবকাঠামোকে দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইলি বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

চলমান এই সহিংস সংঘাত অবসানের আহ্বান জানিয়ে শনিবার জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, ইসরাইলে হামাসের হামলার জবাবে ফিলিস্তিনি জনগণকে সম্মিলিত শাস্তিদান কখনই ন্যায্য হতে পারে না। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই প্রকৃত শান্তি ও স্থিতিশীলতার একমাত্র বাস্তব ভিত্তি।

অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন, গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তার টেকসই বিতরণ নিশ্চিত করার জন্য জাতিসঙ্ঘ সব পক্ষের সাথে চব্বিশ ঘণ্টাই কাজ করছে। তবে গাজার জনগণের আরো অনেক কিছুর জন্য প্রতিশ্রুতি দরকার। সেখানকার বর্তমান চাহিদা পূরণ করার জন্য সহায়তার সরবরাহ অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সীমান্তের এক পাশে ট্রাক বোঝাই আর অপর পাশে খালি পেট।

শনিবার প্রতিবেশী মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক পৌঁছেছে। খাদ্য, পানি ও ওষুধবাহী এসব ত্রাণের ট্রাককে গাজার বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য ‘মহাসাগরে এক ফোঁটা পানির’ সাথে তুলনা করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা।

গত ৭ অক্টোবর ভোরের দিকে মুহুর্মুহু রকেট নিক্ষেপের মাধ্যমে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে হামাস। দুই সপ্তাহ ধরে চলমান এই যুদ্ধে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামাসের চালানো হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আর ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরো ১৩ হাজার ৫৬১ জন আহত হয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা ও টাইমস অব ইসরাইল

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ, ফিলিস্তিন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন