হাসপাতালের জন্য দেয়া জ্বালানি প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগ নাকচ করল হামাস
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের জন্য সরবরাহ করা সামান্য পরিমাণ জ্বালানি প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
সংগঠনটি রোববার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে, জ্বালানি প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তের সঙ্গে হামাসের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই; কারণ, হাসপাতাল সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে থাকে।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদার বাহিনী প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে যে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে তার অংশ হিসেবে এই নাৎসী বাহিনীর মুখপাত্র দাবি করেছে, তারা আল-শিফা হাসপাতালকে ব্যাপক পরিমাণ জ্বালানি সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু হামাস তা প্রত্যাখ্যান করেছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে তারা ওই হাসপাতালের জন্য জেরিকেনে ভরে মাত্র ৩০০ লিটার জ্বালানি সরবরাহ করেছে।
হাসপাতালটির বিশাল প্রয়োজনের তুলনায় প্রস্তাবিত জ্বালানিকে অতি সামান্য উল্লেখ করে হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব রোগী হাসপাতালটিতে আটকা পড়েছেন এবং যারা খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎবিহীন কঠিন সময় পার করছেন তাদেরকে এই সামান্য জ্বালানি সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়ে তাদের অপমান করা হয়েছে। যে জ্বালানি সরবরাহ করা হয়েছে তা দিয়ে আল-শিফা হাসপাতালের জেনারেটরগুলো সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট চালানো যাবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদার ইসরাইল সরকার হাসপাতালে জ্বালানি সরবরাহের প্রচারণা চালিয়ে নিজের কদর্য চেহারাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করার চেষ্টা চালিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করে ডাক্তার ও নার্সদের হত্যা করা এবং খাদ্য, ওষুধ, পানি ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে রোগীদের জীবন বিপন্ন করার মাধ্যমে ইসরাইল যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে জ্বালানি সরবরাহ করার খবর প্রচার করে তা ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে।
হামাসের বিবৃতিতে গাজার হাসপাতালগুলোর জন্য বিপুল পরিমাণ জ্বালানি সরবরাহ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফ্যাসিবাদী দখলদার ইসরাইল সরকার যেন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে না পারে অবিলম্বে সে ব্যবস্থা করা উচিত।