১৪৪ ধারা ভেঙ্গে সিএইচটি কমিশনের দিঘীনালা পরিদর্শন : বাধা দেয়নি প্রশাসন
দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনলা উপজেরার বাবুছড়ায় ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন স্থাপনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পাহাড়ি কর্তৃক হামলার ঘটনায় উচ্ছেদ হওয়া ২১ পরিবার ও বিজিবি‘র ৫১ ব্যাটালিয়ন পরিদর্শন করেছেন সিএইচটি কমিশনের ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল। ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় প্রতিনিধি দলটি বাবুছড়ায় পৌঁছে। এ সময় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের বাধা প্রদান করা হয়নি।
সিএইচটি কমিশনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, কমিশনের কো- চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল, সদস্য স্বপন আদনান, খুশী কবীর, ব্যারিষ্টার সারা হোসেন, সিপিডি‘র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট‘র সমন্বয়কারী হানা শামস আহমেদ।
প্রতিনিধি দলটি বিজিবি ব্যাটালিয়ন স্থাপনকে কেন্দ্র করে উচ্ছেদ হওয়া ২১ পরিবারকে দেখতে বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। উচ্ছেদ হওয়া ২১ পরিবারের সাথে কথা বলেন প্রতিনিধি দলটি। এরপর তারা বাবুছড়া ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন পরিদর্শনে যান। সেখানে ৫১ বিজিবি‘র উপ-অধিনায়ক মেজর কামাল উদ্দিন এর সাথে কথা বলেন এবং স্থাপনকৃত বিজিবি‘র ব্যাটালিয়ন এলাকা ঘুরে দেখেনে। এরপর রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার দ্বি-টিলা‘র সরকারী রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় নির্মিত বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শনে যান তারা।
সিএইচটি কমিশনের কো-চেয়ার সুলতানা কামাল বাবুছড়া বিজিবি ৫১ ব্যাটালিয়ন পরিদর্শনকালে বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়িত হলে পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসবে। এছাড়া পাহাড়ি উচ্ছেদ করে বাবুছড়ায় বিজিবি ব্যাটালিয়ন স্থাপন করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ, বৃহস্পতিবার দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটি ও বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ একই স্থানে একই সময় পাল্টা-পাল্টি মানববন্ধন কর্মসূচী ঘোষণা করে। পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচীর কারণে সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন সকাল ৬ টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে। ১৪৪ ধারা বহাল থাকা অবস্থায় সিএইচটি কমিশনের প্রতিনিধি দলটি দীঘিনালার বাবুছড়া ও দ্বি- টিলা পরিদর্শন করেন।