১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে অনুপ্রবেশকারী ৩৯৬ রোহিঙ্গা
অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে না পেরে ৫১৫ জন রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারটি দীর্ঘ ২ মাস সাগরে ভেসে টেকনাফের বাহারছড়া উপকূলে ভীড়ে বুধবার রাত ১০টার দিকে। ট্রলারে থেকে ৩৯৬ রোহিঙ্গাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কূলে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে বাকীরা সাগরে মারা গেছে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। এসব রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাদের ক্যাম্পে ঢুকানোর কোন সুযোগ নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসন ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে ক্যাম্পের বাইরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব রোহিঙ্গাদের ইউএনএইচসিআরের ট্রানজিট ক্যাম্পেও রাখা হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এর আগে, বুধবার রাত ১০ টার দিকে টেকনাফের শামলাপুর সাগর উপকূলে আসে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারটি। সেখান থেকে কোস্টগার্ড ও বিজিবি-পুলিশের সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে। এখন তাদের টেকনাফের ট্রানজিট জেটিতে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।
