৫০ বছরেও পাকা ভবন পায়নি চাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

fec-image

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৩নং চিৎমরম ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত।
স্বাধীনতা পূর্ব ১৯৬০ সালে দুর্গম এলাকায় উপজাতীয় শিক্ষার্থীদের শিক্ষার বিস্তার লক্ষ্যে তদানিন্তন সরকার বেসরকারিভাবে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। তন্মধ্যে ১৯৭৩ সালে এই বিদ্যালয়টিও সরকারিকরণ করা হয়। কিন্তু সরকারি হবার পরও অদ্যাবধি ৫০টি বছর পার হলেও এখন টিনসেট ভবনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এই স্কুলের নেই কোন পাকা ভবন। এছাড়া শ্রেণি কক্ষও অপ্রতুল। চিৎমরম বাজার হতে ৭কি.মি. দক্ষিণে হল চাকুয়া প্রাইমারি স্কুল। দুর্গম পাহাড়ি ঐ স্কুলে যেতে একমাত্র বাহন হল মোটরসাইকেল। বর্ষার দিনে মেঠোপথে যেতে স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের বেগ পেতে হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হাসান জানান, বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সর্বমোট ৮৩ জন শিক্ষার্থী এবং ৪ জন শিক্ষক রয়েছে । টিন সেট দেওয়া একটি ভবনের ৩টি কক্ষে পাঠদান হয়। এবং আর ১টি কক্ষ অফিস ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্ষা মৌসুমে ক্লাস রুমে পানি পড়ে, ফলে শ্রেণি কার্যক্রম ব্যহত হয়। তাই স্কুলের জন্য একটি নতুন ভবন জরুরি প্রয়োজন।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুইহ্লা মং মারমা বলেন, আমাদের এ গ্রামে ২০০ মারমা পরিবারের বসবাস। এই গ্রামে কোন হাই স্কুল নেই। আছে শুধু ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো অত্যন্ত জরাজীর্ণ টিন সেট ঘরে আমাদের শিশুরা ক্লাস করে এবং শিক্ষকরাও ক্লাস করান। কিন্তু এখানে একটি পাকা ভবন জরুরি দরকার।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন দুর্গম চাকুয়া পাড়ায় সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন। এসময় তিনি চাকুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, আমি নিজে দেখেছি এই স্কুলের জরাজীর্ণ অবস্থা। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।

কাপ্তাই উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার আচার্য্য বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পিইডিপি-৪ এর আওতায় চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে সকল বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। চাকুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও আশা করছি শীঘ্রই ভবনের বরাদ্দ চলে আসবে। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষ খুবই আন্তরিক।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন