সাংবাদিক জহির রায়হান এর উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের আলটিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত নাইক্ষংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা (আরএসও) নেতা শফিউল্লাহ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে ক্ষিপ্ত হয়ে বৈশাখী টেলিভিশন ও বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি এবং দৈনিক মৈত্রী পত্রিকার বার্তা সম্পাদক জহির রায়হানকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালিয়েছে আর এসও সহযোগীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা শহরের ষ্টেডিয়াম মার্কেটে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বান্দরবান কলেজ শাখার সদস্য সচিব আহসানুল হব রুমুর নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি সন্ত্রাসী দা, রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। স্থানীয়রা গুরুত্বর আহতবস্থায় তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জহির রায়হানের উপর হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্বরে মিছিল ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় সাংবাদিকরা। সমাবেশে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দেয় স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।

বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক মো. ওসমান গনির সভাপতিত্বে প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি বৌদ্ধ জ্যোতি চাকমা, দৈনিক সাঙ্গুর সম্পাদক কবির হোসেন সিদ্দিকী, সাপ্তাহিক বান্দরবানের সম্পাদক মোজাম্মেল হক লিটন, সাংবাদিক আবদুল মালেক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বান্দরবান শহর প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জহির রায়হান সাহসী সাংবাদিক। তার কলমের লিখনি আরএসও সহযোগী আওয়ামীলীগ কতিপয় প্রভাবশারী নেতার সহ্য হয়নি। তার লেখনিতে সত্য কথা প্রকাশ হওয়ায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করা হয়। রোহিঙ্গা অর্গানেজেসন সলিটেশন (আরএসও) সাথে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতার সখ্যতা নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে আওয়ামীলীগ নেতা নির্দেশে গত বুধবার জহির রায়হানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু ও লাঠি মিছিল বের করে ক্লান্ত হননি শেষ পর্যন্ত তাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দ্যেশ্য হামলা করে।

তারা বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্য হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের বিরোদ্ধে রাস্তায় নামবে স্থানীয় সাংবাদিক। এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে।