মহেশখালীতে ভোটারদের বিরুদ্ধে প্রার্থী মামলা!
মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (কলস) মার্কার মনোয়ারা কাজলের উপর হামলার ঘটনায় অবশেষে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ সহ ১৪/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মার্চ সন্ধ্যায় মহেশখালী পৌরসভার বানিয়ার দোকানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কলসি মার্কার লিফলেট নিয়ে প্রচারণা চালানোর সময় স্থানীয় পূর্ব জাগিরাঘোনা এলাকার জেবল হোসেন এর পুত্র আমান উল্লাহর নেতৃত্বে প্রার্থীর ওপর হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনার ৬ দিন পর গত রবিবার (১৭ মার্চ) পূর্ব জাগিরাঘোনা গ্রামের জেবল হোসেনের এর পুত্র আমান উল্লাহ (৩৮) কে প্রধান আসামি করে একই এলাকার কবির আহাম্মদের পুত্র রহিম বকসু (৩০), ফজল করিমের পুত্র মোজাম্মেল (৩৫), ইসলামের পুত্র আব্দুল গফুর (৩৩), লাল মোহাম্মদের পুত্র শফিউল আলম (৩৫), মৃত জাফর আহাম্মদের পুত্র আহছান (৩০) কে আসামী করা হয়েছে।
মহেশখালী থানার সেকেন্ড অফিসার সাব– ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক জানান,
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১০ ধারা, তৎসহ ১৪৩/৩০৭/৩২৩/৩৭৯/৫০৬/ (২) পেনাল কোড ১৮৬০.যৌন পীডনসহ বে আইনী জনতায় দলবব্ধ হইয়া হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করিয়া সাধারণ জখম, চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অপরাধ।
এদিকে স্থানীয় ভোটাররা জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় প্রার্থী ভোট চাইতে গেলে বেশ কয়জন যুবক প্রার্থীকে বাধা দেয়, তারা মূলত বলেন যে, এই এলাকায় আপনার ভোট চাওয়ার অধিকার নেই। এক পর্যায়ে ভোটার ও প্রার্থীর সাথে হাতাহাতি হয়।
স্থানীয় ছাত্রদলের এক সভাপতি নাম (প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, বিগত সংসদ নির্বাচনে অত্র এলাকার দুই বারের সাবেক সংসদ আলমগীর ফরিদের গাড়ি বহরে হামলা করেছিলে কলস মার্কার প্রার্থী মনোয়ারা কাগজ। সে কোন মুখে তার এলাকায় ভোট চাইতে আসে আমাদের জানা নেই।
মূলত রাজনৈতিক কারণে এলাকার নিরহ ছেলেদের মামলায় আসামী করা হয়েছে।আমরা এর নিন্দা জানাই।