সিনহা হত্যা মামলা: ১৮ মাসের বেতন-ভাতাসহ চাকুরি ফিরে পাবেন খালাসপ্রাপ্ত ৭ আসামি

fec-image

মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় ‘নির্দোষ’ প্রমাণ হওয়ায় বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত পুলিশের ৭ সদস্য চাকুরি ফিরে পেতে এখন আর বাধা নেই। সাথে পাবেন সাময়িক বরখাস্ত হয়ে কারাভোগের ১৮ মাসের বেতন-ভাতাও। তবে, এরজন্য আদালতের রায়ের কপিসহ তাদের সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে আবেদন করতে হবে পুলিশ সদর দপ্তরে।

মামলায় নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় গত ৩১ জানুয়ারি সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল।

তারা হলেন, পুলিশের এএসআই মো. লিটন মিয়া, কনস্টেবল ছাফানুল করিম, মো. কামাল হোসাইন ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মোহাম্মদ মো. রাজীব হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল- মাহমুদ। মুক্তিনামা মূলে ওই দিন রাতেই তারা কারামুক্ত হয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে গেছেন।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের বিধি মতে এসব সদস্য চাকুরি ফিরে পাবেন (শর্ত মতে)। প্রয়োজনে পদোন্নতিসহ অন্যান্য সুবিধাও পাবেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী বাপ্পী শর্মা জানান, ফৌজদারী কার্যবিধি (সিআরপিসি) মতে খালাস পাওয়া ব্যক্তি চাকুরি ফেরত এবং বরখাস্ত থাকাকালিন বেতন দেয়ার বিধান রয়েছে। খালাসপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা পুলিশের বিভাগীয় আদালতের মাধ্যমে চাকুরিতে ফিরবেন। এটা না হলে পুলিশের এসব সদস্যের শ্রম আদালতসহ আইনের আশ্রয় গ্রহণের সুযোগও রয়েছে।

২০২০ সালে ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন শাহারিয়ার ফেরদৌস। মামলাটির তদন্ত দেয়া হয় র‌্যাবকে। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জন অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযুক্ত পত্র দাখিল করা হয়। ৩১ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় মামলার রায়। এ রায়ে খালাস পেয়েছেন এপিবিএন’র ৩ সদস্যসহ ৭ জন।

সিনহা হত্যা মামলায় সোমবার ঘোষিত রায়ে আদালতে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদন্ড এবং যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা এবং পুলিশের সোর্স নিজাম উদ্দিন, নুরুল আমিন ও আয়াজ উদ্দিন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন