গরুর গোশত নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে মুম্বাই হাইকোর্টে আবেদন হিন্দুদের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের সংসদে যখন গরু রক্ষা করা নিয়ে বিজেপি এমপিরা সরব হচ্ছেন, তখন মহারাষ্ট্রে গরুর গোশত নিষিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন দু’জন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।
বিশাল শেঠ নামে একজন আইনজীবী এবং সাইনা সেন নামে এক শিক্ষার্থীর দাবি, “মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি গরু জবাই নিষিদ্ধ এবং গরুর গোশত খাওয়া নিষিদ্ধ করে যে আইন পাস করা হয়েছে তা মৌলিক অধিকারের বিরোধী। তাই এই আইন বাতিল করা হোক।”
মুম্বাই হাইকোর্টে তারা আবেদন করে বলেছেন, “আমরা হিন্দু, তবে গরুর গোশত খাই। গরুর গোশত আমাদের পুষ্টি সাধন করে। গরুর গোশত খাওয়া, বিক্রি করা এবং বাড়িতে রাখা নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তাতে সংবিধান বর্ণিত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে।”
আগামী সপ্তাহেই বিচারপতি ভি এম কানাড়ে ও বিচারপতি এ আর জোশির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিজেপ এমপি শঙ্করভাই এন বলেছেন, ‘গোহত্যা আসলে মহাপাপ। বেদ-এ গরুকে মা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। আর কেউ কেউ সেই গরুর মাংস খান।’
তিনি বলন, ‘কী হচ্ছে এসব! এদেশে গরুদের রক্ষা করতে না পারলে দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না।!’
বিজেপি’র ওই এমপি সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করেছেন, “গোমূত্র খেলে ক্যান্সার রোগ সম্পূর্ণ সেরে যায়। কিন্তু কেউ একথা শুনতে চায় না। আপনি যদি ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে আগে গোহত্যা বন্ধ করতে হবে।”
এদিকে, মহারাষ্ট্রে গরুর গোশত নিষিদ্ধ হওয়ায় মুম্বাইয়ের সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্কের বাঘ, সিংহরাও পড়েছে বেকায়দায়। তাদের কপালে মহিষের গোশতও জুটছে না। গত দু’সপ্তাহ ধরে তাদের মুরগির গোশত খেয়ে থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫০ কেজি করে মহিষের গোশত লাগে তাদের। মহিষের গোশত নিষিদ্ধ না হলেও সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গরুর গোশত বিক্রেতা ও সরবরাহকারীরা ধর্মঘট শুরু করায় মহিষের গোশতও অমিল হয়ে পড়েছে। ফলে পার্কে থাকা বাঘ, সিংহ, শকুনরা এখন এতদিনের খাদ্যভ্যাস বদলে মুরগি খেতে বাধ্য হচ্ছে।-আইআরআইবি।