মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের ১০ দিনের আল্টিমেটাম
মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। তারা বলেন ভিক্ষা নয়, দয়া নয় বাপ-দাদার জায়গা জমিনের ক্ষতি পূরণের দাবি করছি, নয়তো কাজ বন্ধ করা হবে।
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী থেকে ২য় কয়লা বিদ্যুতের জন্য অধিগ্রহণ করা ১২ শত একর জমি কোল পাওয়ার কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করার পর জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা না দিয়ে কয়েক মাস ধরে ঐ জমিনের চারদিকে বাঁধ নির্মাণ করে যাচ্ছে। এমন কি উত্তরাংশে অর্থাৎ বার শত একর জমির আওতাধীন থাকায় তিনটি স্রুইচ গেইটের মুখে মাটি ফেলার কারণে বাহির থেকে পানি আশা যাওয়া করতে না পারায় ঐ অধিহগ্রহণকৃত জমিসহ আশে পাশে থাকা আরোও বহু জমির লবণ চাষ করতে ব্যহত হচ্ছে।
এছাড়া ১৫০ একর জমির হাল-চাষ হচ্ছেনা শুষ্ক মৌসুমে। এমন কি আগামী বর্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে না পারলে পুরো মাতারবাড়ী পানিতে তলিয়ে যাবে। আমাদের দাবি অধিকগ্রহণ করা জমির মালিকদের সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে ঐ এলাকায় কাজ শুরু করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। অন্যথায় এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আমাদের সহায় সম্পত্তি রক্ষায় আমরা প্রতিরোধ করতে যা যা প্রয়োজন তা করতে বাধ্য হব।
এর -ই ধারাবহিকতায় আমাদের আন্দোলন চলমান হিসেবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের চত্ত্বর এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করার পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। এমন কি ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে দাবি আদায় করে নেব।
সোমবার(২২জানুয়ারি) বিকেল ৪ টার সময় মাতারবাড়ী পূর্নবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য বশির আহমদের সভাপতিত্বে ও ছাত্রনেতা জকরিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সিএনজি স্টেশন এলাকার প্রধান সড়কে মাতারবাড়ী পূর্ণবাসন বাস্তবায় সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তরা এসব কথা বলেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, ওই পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা কাউছার সিকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দু রহিম বি.এ, সাবেক ছাত্র নেতা কামাল উদ্দিন, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন সেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাশেম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল কাদের সিকদার।
বক্তব্যের শেষে বক্তরা ৭ দফা দাবি সম্বলিত কপি উপস্থিত সাংবাদিক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে বিতরণ করেন। দাবি গুলো হচ্ছে, ১৪১৪ ও ১২০০ শত একর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের ও সম্পূর্ণ টাকা প্রদান না করা পর্যন্ত মানবিক দৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদেরকে চাষাবাদ করার সুযোগ দেয়া, ঘনবসতি মাতারবাড়ীবাসীকে জলবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষে পানি চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ, ৯০% ক্ষতি পূরণের টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত জমি মালিকদের ব্যবহারের সুযোগ দেয়া, কক্সবাজার জেলা ভূমি অধিগ্রহণকৃত কার্যালয়ে হয়রানি দুর্ণীতি বন্ধ করা, প্রকল্পের কাজে বহিরাগত শ্রমিকদের নিয়োগ বন্ধ করে মাতারবাড়ী কর্মহীন শ্রমিকদেরকে নিয়োগ দেয়া, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনের মাঝে কৃষি ঋণ, মৎস্য ঋণসহ বিভিন্ন ঋণ মওকুফ করা হোক। ভিক্ষা নয়, দয়া নয় বাপ দাদার জমিনের ক্ষতিপূরণ চাই এটাই ছিল শ্লোগান।