শ্রী রাম” ধ্বনি দিতে অস্বীকার করায় ৩ যুবককে মারধর
বলতে হবে ‘শ্রীরাম ধ্বনি। আর তা বলতে অস্বীকার করলেই জুটবে বেদম প্রহার। সম্প্রতি এই প্রবণতার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে নাগরিক সমাজ। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ যে হয়নি তার প্রমাণ গুজরাটের গোধরা।
‘শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে অস্বীকার করায় তিনজন মুসলিম যুবককে মারধরের ঘটনা ঘটল গোধরায় । দুষ্কৃতীরা বাইকে চড়ে এসেছিল বলে এক আক্রান্ত যুবকের বাবা জানিয়েছেন। দুটি বাইকে মোট ছয় জন দুষ্কৃতী ছিল বলে জানতে পারা গিয়েছে। তবে তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তিন যুবকও বাইকে ছিল। মাঝ পথে তাদের থামিয়ে এই নারকীয় ঘটনা ঘটায় দুষ্কৃতীর দল। এলাকায় ফের দেখা গেলে আক্রান্ত যুবকদের প্রাণনাশের হুমকি দেন অভিযুক্তরা। পরে পালিয়ে যায় তারা। অজ্ঞাত পরিচয় ছয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ দয়ের করেছে পুলিশ।
ঘটনা বৃহস্পতিবার রাতের। অভিযোগকারী সিদ্দিক ভগতের দাবি, ‘ওই রাতে তিনজন যুবক মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিল। মাঝপথে দুটি বাইকে ছয়জন অজ্ঞাতপরিচয় ছেলে সমীর সিদ্দিক, সালমান ঘিটেলি ও সোহেল ভগতকে থামিয়ে দেয়। ছেলেদের ‘শ্রীরাম’ (shri Ram) ধ্বনি দিতে বলে। তা না করতেই শুরু হয় অত্যাচার। সমীরকে কপালে সাইকেলের চেন দিয়ে আঘাত করা হয়। সলমনকে একটি ভোঁতা বস্তু দিয়ে মাথায় মারা হয়।’
এখানেই শেষ নয়, আক্রান্ত যুবকের বাবা জানান, যাওয়ার আগে আক্রমণকারীরা প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে। তাঁর দাবি, ‘যুবকদের আবারও এলাকায় দেখা গেলে তাদের হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।’ পুরো ঘটনা গোধরা( Godhra) টাউন থানায় জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জখম সমীর ও তার বন্ধুদের স্থানীয়রা শহরের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে পু্লিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ ইন্সপেক্টর এইচসি রথভা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীরা এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। ফলে পুরো বিষয়টি তাদের মুখ থেকে জানা যায়নি। ছয়জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছি।”সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর