চকরিয়ায় কোরবানী পশুর হাটে চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দেশের প্রতিটি জনপদের মতো উপজেলার সরকারি ও মৌসুম মিলিয়ে অন্তত ২৫টি পশু বিক্রির হাট-বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার বাণিজ্যিক জনপদ কিংবা স্টেশনে এসব পশুর হাট গুলো বসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগস্ট মাসের শুরু থেকে এসব হাটে কোরবানি পশু বিক্রি একটু একটু করে শুরু হয়েছে। দশ আগস্টের পর এসব হাটে বেচাকেনাও শুরু হয়েছে। তবে বর্তমানে প্রতিটি হাটে স্থানীয় গৃহস্থালী মানুষের পালিত ছাড়াও মিয়ানমার এবং ভারত থেকে আসা আমদানির প্রচুর গরু বাজারে আসছে। এ মুহূর্তে বাজারে তেমন বেচাকেনা না হলেও এক দুইদিন পর জোরেশোরে কোরবানি পশু বেচাকেনা শুরু হবে এমনটা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় বাজার ইজারদার পক্ষের লোকজন।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতি বছর কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসলে কতিপয় গৃহস্থালী লোকজন ও খামারিরা অধিক টাকা লাভের আশায় পালিত বেশিরভাগ গরু মোটা তাজা করতে নানা ধরণের ওষুধ খাইয়ে দেন। ফলে দেখতে সতেজ ও সবল এসব কোরবানি গরু মহিষ বিক্রি করে মালিকরা বিপুল টাকা হাতিয়ে নিলেও ক্রেতা সাধারণ প্রতারণার শিকার হন। অপরদিকে ওষুধ খাইয়ে মোটা তাজা করা এসব গরু জবাই করে কোরবানির মাংস খেয়ে মানুষ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হন। এতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা থাকে মানুষের মাঝে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি অনুধাবন করে এবার কোরবানি বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশু বিক্রি নিশ্চিত করতে আগেভাগে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ।

চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. ফেরদৌসী আক্তার দিপ্তীর নেতৃত্বে এ লক্ষ্যে প্রতিদিন উপজেলার প্রত্যেক কোরবানি পশুর হাটে শুরু হয়েছে গরু-মহিষ ও ছাগলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম। এতে কাজ করছেন ৮-১০জনের একটি মেডিকেল টিম। গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মেডিকেল টিমকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন ডা. ফেরদৌসী আক্তার দিপ্তী। উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জনের এ ধরণের উদ্যোগের ফলে কোরবানি পশুর হাটে আগত ক্রেতা সাধারণের মাঝে বেশ আশা জাগিয়েছে।

জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. ফেরদৌসী আক্তার দিপ্তী বলেন, বছরে বারমাসই আমরা গবাদিপশুর সব ধরণের চিকিৎসা দিই। এমনকি কোন মালিক বাড়ি থেকে তার পালিত গরু প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে আনতে না পারলে আমরা মালিকের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করি। সরকারি দায়িত্বপালনের অংশ হিসেবে আমাদের মেডিকেল টিম কোরবানি বাজারে গরু-মহিষ-ছাগলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ করছেন। আমরা চাই ক্রেতা সাধারণ টাকা দিয়ে রোগ-বালাইমুক্ত পশু কিনে নিরাপদ পরিবেশে কোরবানির ঈদ উদযাপন করুক।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন