চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বসতঘর পুড়ে ছাই: মা-ছেলে গুরুতর আহত

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ওই বসত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক পারিবারের মা ও ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে। বুধবার (২৮নভেম্বর) ভোর ৩টার দিকে উপজেলা কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হামিদুল্লাহ সিকদার পাড়া এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডে আহতরা হলেন, কৈয়ারবিল হামিদুল্লাহ সিকদার পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার জোনাকি (৩৫) ও  তার ছেলে মোহাম্মদ হাসনাত (১৪)। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক)প্রেরণ করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, বুধবার ভোর তিনটার দিকে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত (৪,৫ ও ৬ নম্বর) ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রোকসানা পারভীনের স্বামীর ভাই মোহাম্মদ ইসলামের বসতঘরে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পাশের অন্য তিনটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৪টি বসতঘর সম্পুর্ণভাবে আগুনে পুড়ে যায়। আগুন লাগার পরপর স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে শতচেষ্টা করেও সক্ষম হয়নি। খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এরই মধ্যে আগুনে দগ্ধ হয়ে মো. ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার জোনাকি (৩৫) ও  তার ছেলে মো. হাসনাত (১৪) আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়।

আক্রান্ত পরিবারের সদস্য ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত (৪,৫ ও ৬ নম্বর) ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যা রোকসানা পারভীন বলেন, তিনি ও তার স্বামীর অপর তিন ভাই মিলে আলাদাভাবে চারটি বসতঘর করে যৌথ পরিবারে মধ্যেই থাকতেন। বুধবার ভোর তিনটার দিকে আকস্মিক ভাবে মো. ইসলামের বসতঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পাশের অন্য তিনটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সবাই ঘুমের মধ্যে ছিলাম। হঠাৎ ঘরে আগুন দেখে কোন রকম ছেলে-মেয়ে নিয়ে প্রান রক্ষার্থে ঘর থেকে বাহির হয়ে পড়ি। এতে একে একে ৪টি বসতঘর সম্পুর্ণ ভাবে আগুনে পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০/১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান  মক্কী ইকবাল হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া চারটি বসতবাড়ি থেকে কোন ধরণের মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি। বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণলংকার  ও মুল্যবান আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশে নিচে বসবাস করছেন।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী দেয়া হবে। পাশাপাশি সরকারিভাবে যাতে তাঁরা ক্ষতিপূরণ পায় সেই জন্য তালিকা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর নাম পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন