অভাবের তাড়নায় ছেলে বিক্রির চেষ্টা

আলোচিত সোনালি চাকমা ও শিশুপুত্র রামকৃষ্ণ চাকমার সুরক্ষায় জেলা প্রশাসন

fec-image

আলোচিত মা সোনালি চাকমা ও তাঁর হতভাগা শিশুপুত্র রামকৃষ্ণ চাকমার (৬) সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসন। তাকে দেওয়া হয়েছে নগদ এক লাখ টাকা। আরো পাবেন একগুচ্ছ রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা।

রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস তার দপ্তরে জেলার পানছড়ি উপজেলার পাকুজ্যাছড়ি গ্রামের অসহায়-অসুস্থ এবং চালচুলোহীন মা সোনালি চাকমার হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন। এছাড়া সোনালী চাকমাকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘর প্রদান, শিশুপুত্র রামকৃষ্ণ চাকমার ভবিষ্যত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি শিশু পরিবারে রাখা, সোনালী চাকমার সু-চিকিৎসা ও তাকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার কথাও জানান।

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ও ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজন চাকমাসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মানবিক বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে আনায় সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।

গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) খাগড়াছড়ি বাজারে ছোট ছেলে রামকৃষ্ণকে বিক্রি করতে যান মা সোনালী চাকমা। ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করার প্রস্তাবে দর কষাকষিতে উঠে ৫ হাজার টাকা। এ সময় কয়েকজন ছেলে ধরা মনে করে সোনালী চাকমাকে আটক করা হয়। ঘটনাটি সদর উপজেলার কমলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুনীল জীবন চাকমা নজড়ে আসলে রক্ষা পায় রামকৃষ্ণ। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে মিডিয়ায় ঝড় উঠে। ফলে মা-ছেলের পরিণতি মানুষের মনে দাগ কাটে। পরিবারটির জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে ছুটে যান সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা। এসময় তিনি পরিবারটিকে ৬ মাসের খাবার সামগ্রী, নগদ অর্থ সহায়তা দেন। একই সঙ্গে তাদের একটি সরকারি ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।

এ নিয়ে শুক্রবার পার্বত্যনিউজে “অভাবের তাড়নায় নিজ সন্তানকে বিক্রির জন্য বাজারে তুললেন মা” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জেলা প্রশাসন, রামকৃষ্ণ চাকমা, সোনালি চাকমা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন