উখিয়া-টেকনাফের গহীন জঙ্গলে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান


কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের গহীন জঙ্গলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাঁচশত সদস্যদের সমন্বয়ে মাদক নির্মুল ও অপহরণ প্রতিরোধে যৌথ অভিযান চালিয়েছে। এসময় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
যার মধ্যে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১০০ গ্রাম গাজা, ২ হাজার ৫০ পিস ইয়াবা এবং ২টি এলজি, ১টি ওয়ান শুটার গান, ১১টি গুলি, ১টি অস্ত্র তৈরীর যন্ত্রাংশ, ৪টি রামদা, ২টি ছুরি, ১টি চাকু, ৩টি কিরিচ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের গহীন জঙ্গলে র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান শেষে কক্সবাজারের র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কামরুল হাসান সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে কক্সবাজারকে অপরাধ প্রবন এলাকা উল্লেখ করে জানান, মাদক, চোরাচালান ও অপহরণের ঘটনা প্রায়শই ঘটছে।
সম্প্রতি মাদক ও অপহরণ দুটো অপরাধই আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদকের পাশাপাশি গত ৩ মাসে কক্সবাজার জেলায় চল্লিশটির মতো অপরহণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৩০ টির মত ঘটনা শুধু এই দুই উপজেলা টেকনাফ ও উখিয়াতে সংঘটিত হয়েছে।
তিনি গোয়েন্দাসূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও জানান, উখিয়া-টেকনাফে অপহরণকারীরা সাধারণত ভিকটিমদেরকে উখিয়ার জালিয়া পালং, শ্যামলাপুর, কুদুমগুহা এবং টেকনাফের রঙ্গীখালী, আলীখালী ও জালিয়া পাড়ার গহীন অরণ্যে রাখে। ওই গহীন এলাকাগুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক দুর্গম হওয়াতে সন্ত্রাসী ও ডাকাতরা তাদের নিরাপদ আশ্রয় মনে করে।
ওই গহীন এলাকা থেকে সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের আস্তানা সমূলে ধ্বংস এবং মাদকের রুট বন্ধ করতে র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর পাঁচ শতাধিক ফোর্স নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশী অভিযানে কোন পাচারকারী কিংবা সন্ত্রাসী, ডাকাত, অপহরণকারি আটক হয়নি।
তবে এ সাঁড়াশি অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে উখিয়া টেকনাফের সাধারণ জনগন। ভবিষ্যতে এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার আহবান জানান উখিয়া টেকনাফের সচেতনমহল।