চকরিয়ায় ইউএনও’র শীতার্ত মানুষদের কম্বল বিতরণ
চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রত্যন্ত জনপদে শীতার্ত গরীব মানুষের খবর নিতে ছুটে যাচ্ছেন সদ্য নির্বাচিত জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান।
প্রতিদিন সরকারি অফিসে দাপ্তরিক কার্যক্রম শেষে কিংবা কোন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাওয়ার পথে তিনি কোন না কোন ইউনিয়নে একবার উপস্থিত হচ্ছেন। সঙ্গে নিচ্ছেন জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দপ্রাপ্ত শীতের কম্বল। তিনি এলাকা ঘুরে শীতার্ত গরীব মানুষ দেখে দেখে তাদের মাঝে বিতরণ করছেন এসব শীতের কম্বল। এক সপ্তাহ ধরে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন জনপদে চলছে ইউএনও শিবলী নোমানের মানবিক এই কার্যক্রম।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, এ বছর কক্সবাজার জেলা প্রশাসন চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার শীতার্ত মানুষের জন্য ৯৯৮২টি কম্বল বরাদ্দ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ কম্বল উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে গরীব জনগনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
কিছু পরিমাণ কম্বল স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক ও পৌরসভা এলাকায় বিতরণ করেছেন মেয়র আলমগীর চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ বিভাজন শেষে উপজেলা প্রশাসনের অধীনে থাকা অল্প পরিমাণ কম্বল নিয়ে আমি উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদে হতদরিদ্র টমটম ও রিক্সা চালকসহ গরীব শ্রেণির মানুষের মাঝে বিতরণ করেছি। মুলত মাদক প্রতিরোধ, ট্রাফিক আইন, বাল্যবিবাহ সম্পর্কে ধারণা দিতে এবং সন্তানদের শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাার লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণার অংশ হিসেবে গ্রামীণ জনপদে সাধারণ মানুষের পাশে গিয়েছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সাথে একটি করে শীতের কম্বল বিতরণ করেছি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রথম দফায় বরাদ্দের পরও সংকট থাকায় নতুন করে চকরিয়া উপজেলার জন্য আরো কিছু কম্বল বরাদ্দ পেতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে যেসব এলাকায় শীর্তাতরা কম্বল পায়নি, তাদেরকে দেওয়া হবে।