চকরিয়ায় গৃহবধুকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সানজিদা বেগম (১৯) নামের এক গৃহবধুকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে খোদ স্বামীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় স্বামী মো.ছাদেককে আটক করেছে পুলিশ। গৃহবধু সানজিদার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) ভোররাত ৩ টার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দরগাহ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত সানজিদা ওই এলাকার মৃত আবু নাহিদ বাবুলের মেয়ে। তার সংসারে দেড় বছর বয়সি এক সন্তান রয়েছে।

নিহত সানজিদার বড় বোনের জামাই মো.করিম অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ বছর আগে বরইতলীর দরগাহ এলাকার মো. ছাদেকের সাথে আমার শ্যালিকা সানজিদার বিয়ে হয়। এরপর তাদের সংসারে এক সন্তান জন্ম নেয়। এরমধ্যে সানজিদার স্বামী মো. ছাদেক পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে শুরু হয় সানজিদার উপর নির্যাতন।

তিনি আরো বলেন, শ্যালিকা সানজিদাকে নির্যাতনের খবর পেয়ে রোজার আগে তাকে বাপের বাড়িতে নিয়ে আসি। গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় মেম্বারের অনুরোধে তাকে আবার শশুর বাড়িতে পাঠায়।

কিন্তু সানজিদা শশুর বাড়ি যাওয়ার পর আবার শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতে সানজিদার মৃত্যু হয়। শশুর বাড়ি থেকে আমাদেরকে খবর দেয়া হয় সানজিদা বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটে মারা গেছে।

ভগ্নিপতি করিম বলেন, আমরা গিয়ে দেখতে পায় সানজিদার নিথর দেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। তার গলায় কালো দাগ এবং কান দিয়ে রক্ত ঝরছে। পরে আমরা ঘটনাটি পুলিশ জানায়। পুলিশ গিয়ে ঘাতক স্বামী ছাদেককে আটক করে।

তবে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আমিনুল ইসলাম গলাটিপে হত্যা কথা অস্বীকার করে বলেন, খবর পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করি। তবে প্রাথমিক সুরতহালে গৃহবধুর গলায় কোন দাগ বা চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে পায়ের আঙ্গুলে একটা কালো দাগ রয়েছে। ওই দাগটা দেখে মনে হচ্ছে পুড়ে যাওয়ার।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, সানজিদাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি শর্ট সার্কিটে মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত না। দুই পক্ষ দুই ধরনের কথা বলছে। তাই আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে হত্যা নাকি শর্ট সার্কিটে মৃত্যু। তবে, সানজিদার স্বামী ছাদককে আটক করেছি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গৃহবধু, চকরিয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন