চকরিয়ায় সেলুনের আড়ালে ইয়াবা কারবারের অভিযোগ
চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ার আমেনা শপিং সেন্টারে সেলুন দোকানের আড়ালে রমরমা ইয়াবা ব্যবসা এবং ওই দোকানকে সেবনকারীরা আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মার্কেট মালিকের সঙ্গে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ডেভেলপার কোম্পানী খুচরা এক ইয়াবা কারবারিকে ওই দোকানটি উপ-ভাড়া দেয়। দোকানটি উপ-ভাড়া নেওয়ার পর থেকে সেলুন মালিক চকরিয়ার কৈয়ারবিলের রাজীব চন্দ্র সুশীল সেখানে ইয়াবার কারবার এবং মাদকের আস্তানা হিসেবে গড়ে তুলে।
এতে ওই মার্কেটে আগত ক্রেতা বিশেষ করে নারীরা যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি এই পরিস্থিতিতে মার্কেট মালিক, ডেভেলপার কোম্পানী লোকজন ও কথিত সেলুন মালিকের মধ্যে ত্রিমুখি সংঘর্ষেরও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অবশ্য মার্কেট মালিকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বুধবার অকুস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতম রায় সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এর আগে মার্কেট মালিক মো. ইদ্রিস মিয়া থানার ওসিকে এ সংক্রান্ত অভিযোগ করেন।
মার্কেট মালিক ইদ্রিস মিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীকে অভিযোগ করেন, চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গার ওয়াপদা সড়কে ২৬ কড়া জায়গায় চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছরওয়ার কামালকে ডেভেলপার নিয়োগ করেন। তার সঙ্গে চুক্তিনামাও করা হয়। সেখানে শর্ত ছিল গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে চারতলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের পর সরসে-নিরসে অর্ধেক দোকান ডেভেলপার কোম্পানী সেলামীতে ভাড়া দিয়ে সমুদয় টাকা আদায় করবেন। আর সেসব দোকানের ভাড়াটিয়া চুক্তি করবেন মার্কেট মালিক মো. ইদ্রিস মিয়া। মাসিক ভাড়াও পাবেন মার্কেট মালিক। কিন্তু ডেভেলপার কোম্পানী ছরওয়ার এসব শর্ত লঙ্ঘন করে অগ্রীম টাকা নিয়ে কয়েকটি দোকান ইতিমধ্যে উপ-ভাড়া দেয়। যা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করা হয়েছে।
ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় ডেভেলপার কোম্পানী ছরওয়ার এমন একজনকে মার্কেটের একটি দোকান ভাড়া দেন যার বিরুদ্ধে খুচরা ইয়াবা কারবারের অভিযোগ রয়েছে। মার্কেটের সিঁড়ি লাগোয়া দোকানটি উপ-ভাড়া নেওয়ার পর সেখানে সেলুনের আড়ালে রমরমা ইয়াবা কারবার শুরু করেছে। এমনকি রাতের বেলায় ফটক বন্ধ রেখে ভেতরে ইয়াবা সেবনের আসরও বসানো হয়। এতে পুরো মার্কেটের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মার্কেট মালিকের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। যদি সেলুন দোকানের আড়ালে ইয়াবা কারবারের অভিযোগ সত্য হয় তাহলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য ডেভেলপার কোম্পানী ছরওয়ার কামালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।