খাগড়াছড়িতে পুলিশের সম্প্রীতি সমাবেশ

‌‘ছাত্র-জনতার ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে পুলিশকে নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে’

fec-image

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজ মো: আহসান হাবীব পলাশ বলেছেন, ছাত্র-জনতার ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমাদের নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকবে দেশটাকে নতুন ভাবে গড়ার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্য একটি দলের বাহিনীর হিসেবে দীর্ঘদিন সমাজে নিপিড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে।কিছু পুলিশের মাত্রারিক্ত অনুগত ও দুর্বল নেতৃত্বে কারণে পুলিশ বাহিনী কলংকিত হয়েছে। পুলিশে ক্রটি ছিল। এ কারণে জনগণের প্রত্যাশা পুরুণে ব্যার্থ হয়েছে। আমরা আবার ফিরেছি। আমরা কাজের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পুরুন করতে চাই। যে সব পুলিশের সদস্য খাগড়াছড়িতে মানুষের উপর নিপিড়ন-নির্যাতন করেছে তাদের আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

তিনি বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে খাগড়াছড়ি টাউন হল মিলনাতয়নে জেলা পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েলে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান,জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুন ভট্টাচার্য্য, উপজাতীয় নেতা রবি শংকর তালুকদার, হেডম্যান ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছলেম উদ্দিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি জাহিদ হোসেন, মো. আল আমীন, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক মজুমদার, জাতীয় খতির ফাউন্ডেশনের পক্ষে মুফতি ইমাম উদ্দিন কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে’র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাউছার আজিজী, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদের সভাপতি আসাদ উল্লাহ ও খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. ইউনুস প্রমূখ।

সমাবেশের শুরুতে পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জুলাই আগস্টের বিপ্লবে শহীদদের স্মরণ করে এ সম্প্রীতি সমাবেশের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।

সম্প্রীতি সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: তফিকুল আলম।

উন্মুক্ত আলোচনায় পাহাড়ের নানা সমস্যা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি, সংঘাত-সংঘর্ষ বন্ধ, পাহাড়ি বাঙালির মাঝে সম্প্রীতি বজায় রাখা, জোরদার, নিরাপত্তায় প্রশাসনের ভূমিকাসহ এধরনের সমাবেশের উপর গুরুত্বারোপ উঠে আসে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন