টেকনাফের সাবরাং উপকূলে নতুন করে ভয়াবহ ভাঙ্গন
মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ:
টেকনাফ উপজেলার সাবরাং উপকূলে নতুন করে ভয়াবহ ভাঙ্গণ ধরছে। বিশেষ করে খুরের মূখ ও হাদুরছড়ায় ব্যাপকভাবে ভাঙ্গন সৃষ্টি হওয়ায় এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। চরম হুমকির মূখে পড়েছে ৪ শতাধিক পরিবার, ৩০০একর ফসলি জমি, ৪০ একর চিংড়ি ঘের। মহা আতংকে দিন কাটাচ্ছে উক্ত দুটি গ্রামের ৪ শতাধিক পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ ।
খবর পেয়ে সরজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, ভাঙ্গণের ভয়াবহ দৃশ্য। ভাঙ্গণের ভয়াবহতা স্বচক্ষে না দেখলে বুঝানো কঠিন । ভাঙ্গণের কবলে পড়ে শত শত ঝাউগাছ উপড়ে পড়ে গেছে। ফসলি জমিতে জমেছে সাগরের বালি। বিশাল এলাকা ভাঙ্গণে সাগরের করাল গ্রাসে চলে গিয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দাগণ জানান- বাপ-দাদার আমল থেকে এই এলাকায় এধরণের ভয়াবহ ভাঙ্গণ দেখিনি । তাছাড়া অতীতের কোন সময়ে এসব গ্রামে সাগরের পানি উঠেনি । কিন্ত গত ৩ দিন ধরে অব্যাহত ভাঙ্গণের সাথে গ্রাম দু’টিতে সাগরের জোয়ারের পানি আসা-যাওয়া করছে ।
টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার শামসুল হক জানান, জরুরী ভিত্তিতে বাঁধের ব্যবস্থা করা না হলে খুরেরমুখ ও হাদুরছড়া বিশাল আয়তনের গ্রাম দু’টি রক্ষা করা সম্ভব হবে না । তিনি এব্যাপারে সরকারের জরুরী হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন ।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে ভাঙ্গণের ভয়াবহতার প্রমাণ মিলেছে বড় বড় ঝাউগাছ শেকড়সহ উপড়ে পড়ে থাকতে দেখে । বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর উপকুলে কোন বেড়ী বাঁধ নেই । প্রাকৃতিক উঁচু উঁচু বালির ডেইল বেড়ীবাঁধের মতো এযাবৎ উপকূল বাসীকে রক্ষা করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে প্রাকৃতিক এই বাড়ির ডেইল সাগরের করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন করে আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
শামসুল হক মেম্বার জানান, খুরের মূখ ও হাদুরছড়ার ভয়াবহ ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে বালির বস্তা বা বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী “অমাবশ্যার জো” এর সময় বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে।
সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হামিদুর রহমান বলেন, উক্ত গ্রাম দু’টিতে ভাঙ্গনের খবর শুনেছি। কিন্তু আমি এখনও পরিদর্শন করতে পারি নাই।