টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ৯০ হাজার ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ৩

fec-image

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে টেকনাফে অনুপ্রবেশকালে ৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) ২ জন পাচারকারীকে আটক করেছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক দু’টি অভিযান চালায়।

বিজিবি জানায়, মায়ানমার থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান এদেশে প্রবেশের সংবাদে মাদক পাচারকারীদের ধরতে গভীর রাতেই নাফ নদী ও তীরবর্তী অঞ্চলসহ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সৈকতে বিজিবি’র বেশ কয়েকটি বিশেষ টহলদল কৌশলগত অবস্থান করে। পরে অপরাধী চক্রকে ধরতে ভোরবেলা সাবরাং ইউনিয়নের একটি বাড়িতে মাদকের একটি বড় চালান সাগর পথে সংগ্রহ করে গোপনে লুকিয়ে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইল এলাকা ঘিরে রেখে বিজিবি’র টহল দল চিরুনী অভিযান চালায়। এসময় আলীর ডেইল এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমেদের মেয়ে মিনারা বেগম (৩৫) এর বসত বাড়ি থেকে ৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাহাকে এবং ফরিদ আলমের পুত্র মো: কেফায়েত উল্লাহকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী আলামতসহ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

এদিকে অপর একটি অভিযানে সাবরাং ইউনিয়ন ও নাফ নদীতে অভিযান পরিচালনার এক পর্যায়ে টেকনাফের খুরেরমুখ এলাকার একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা রাখার সংবাদ পেয়ে অভিযান চালায়। এসময় বাড়িটি ঘিরে ফেলে তল্লাশী চালিয়ে কথিত জমিলা বেগমের বাড়ির মুরগীর খামারে গোপনে সংরক্ষিত ২৮ কেজি গাঁজাসহ জমিলা (৫০) কে আটক করা হয়। সে খুরেরমুখ এলাকার মৃত আলী আহমদের স্ত্রী।

বিজিবি অধিনায়ক আরো জানান- বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের সীমান্তে নিরাপত্তা, মাদক নির্মূল এবং সকল অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিয়ানমার থেকে নাফ নদী ও উত্তাল সাগর পেরিয়ে টেকনাফে প্রতিনিয়ত পাচার হয়ে আসছে ইয়াবা। বিজিবি’র কড়া টহল স্বত্তেও পাচারকারীরা নিত্য নতুন কৌশলে ইয়াবা নিয়ে আসছে এপারে। এসময় বিজিবি জওয়ানদের হাতে মাঝে মধ্যেই কয়েকটি মাদকের চালান আটক হলেও বড় বড় ইয়াবার চালানগুলো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে বলে জানান সীমান্তে বসবাসকারী বাসিন্দারা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: টেকনাফ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন