নাইক্ষ্যংছড়িতে মিশ্র ফলের বাগান করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন আইনজীবী


বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে বিভিন্ন মিশ্র ফলের বাগান করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাশেদ নেওয়াজ।
জানাজায়, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১৫ বিঘা জমির ওপর দেশি-বিদেশি প্রায় বিভিন্ন জাতের ফলজ গাছ লাগিয়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। পেশায় আইনজীবী হলেও কৃষি কাজের প্রতি রয়েছে তার প্রবল আগ্রহ ও চেষ্টা। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কাগজিখোলা গ্রামে নিজ জমিতে কেমিক্যাল মুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল চাষ করেছেন তিনি।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাশেদ নেওয়াজ কক্সবাজার জজ আদালতে আইনি পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। আইন পেশার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে বাড়ির পাশে গড়ে তুলেছেন এ মিশ্র ফল বাগানের চাষ।
আইনজীবী মোহাম্মদ রাসেদ নেওয়াজ বলেন, প্রথমে শখের বসে তিনি নিজের বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে মিশ্র ফলের বাগান শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক দিক নির্দেশনায় বিভিন্ন উন্নত জাতের ফলের চারা নিয়ে নিজের প্রচেষ্টায় সে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলেন।
তার বাগানে রয়েছে উন্নত জাতের নারিকেল, আম, লেবু, লিচু, পেয়ারা, তেঁতুল, বেল, উন্নত জাতের কুল, বল সুন্দরি, থাই আপেল কুল, কাশ্মীরি আপেল কুল, আম্রপালি, হাড়ী ভাংগা, হিম সাগর, ভারী ফোর, বারো মাসি কাটিমোন মেংগু, দার্জিলিং কমলা, মাল্টা, থাই পেয়ারা সহ নানা জাতের মিশ্র ফল গাছ। কয়েক বছর পর তার বাগানে ফলন আসবে। এতে করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ আইনজীবী।
মিশ্র ফল চাষি রাশেদ নেওয়াজ আরো জানান, আমার স্বপ্ন একটি মিশ্র ফল বাগান করার। কৃষি অফিসের সহায়তা ও পরামর্শে আমি তা করেছি। নিয়মিত ভাবে মিশ্র ফল বাগানে পরিচর্যা করে যাচ্ছি। পাশাপাশি আইন পেশাও করছি। তবে ভালো ফলন হলে আমি লাভবান হবো। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে মিশ্র ফলবাগান পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই প্রতিবেদক সরজমিনে গিয়ে মিশ্র ফল চাষি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাসেদ নেওয়াজের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি আইনি পেশার পাশাপাশি প্রথমে শখের বসে বিভিন্ন জাতের আপেল কুলের চাষ শুরু করেন, অবসর সময় গুলু কাটাতে প্রতি সপ্তাহে বাগানে ছুটে যান। তার লাগানো কুল বিগত বছরগুলোতে ফলন ও হয়েছে। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করেছেন। তবে এবছর পর্যাপ্ত পরিমাণ কুল গাছগুলোতে ফুল আসলেও আশানুরূপ ফলন হয়নি। এতে তার ৫ লাখ টাকার মতন ক্ষতি হয়েছে বলে ও জানান। তারপর ও আশা ছাড়েননি তিনি। তার বাগানে রয়েছে নানাজাতের ফলের বাগান। আগামীতে সবগুলো গাছে ফুল আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে বাগানে নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলে ১০ জন শ্রকিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
কথোপকথন এর এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আমি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চাই। ফলের বাগান আগামীতে আরো বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি এসব কাজে উপজেলা কৃষি অফিস ও বিএডিসির ও সহযোগিতা চান।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড কাগজিখোলা গ্রামের অ্যাডভোকেট রাশেদ নেওয়াজ একজন মিশ্র ফলচাষি। তিনি আইন পেশার পাশাপাশি মিশ্র ফল বাগান করেছেন। তাকে আমরা নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া উক্ত বাগান পরিদর্শন ও করা হয়েছে। আমাদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।