নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বন্ধ বিদ্যালয়গুলো খুলেছে, আতঙ্কে ঘুমধুম সীমান্তের মানুষ

fec-image

নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের বাইশপারী, ভাজাবুনিয়া, ঘুমধুম ও তুমব্রুর অবস্থা থমথমে। তবে এ ৪ পয়েন্টের বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে খুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

সকালের দিকে গুলি বর্ষণের শব্দ কম থাকলেও দুপুর থেকে ভারী অস্ত্রের শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। সন্ধ্যায় তুমুল আকার ধারণ করে। আর বন্ধ ৭ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কম ছিলে সীমান্তের এ পয়েন্টে।

এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে। ব্যাপক গুলি বর্ষণের শব্দে আতঙ্ক বেড়েই চলেছে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে। এদিকে সীমান্তবর্তী অনেকেই ঘর ছেড়েছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।

স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, এখন পর্যন্ত জান্তা বাহিনী ও আরকার আর্মির সাথে তুমুল সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। যার ফলে ঘুমধুম সীমান্তে ব্যাপক গোলা বর্ষণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।

গতকাল মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া মর্টারশেলের বিস্ফোরিত অংশ এসে পড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্তবর্তী একটি বাড়ির উঠানে।

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, আজও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে। আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কোন সময় গোলা আমার ঘরের উপর পড়ে যায়। তাই আমি ও আতঙ্কিত । মিয়ানমারের কাছাকাছি হওয়ায় তার এলাকার মানুষের জীবনযাপনে আঘাত আসছে।

এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বলে জানায় বিজিবি। আজ বুধবার বান্দরবান জেলা প্রশাসকের ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ পরিষদ পরিদর্শন এর কথা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়ি, মিয়ানমার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন