নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালার সেই মানববন্ধনকে মিথ্যা দাবি কৃষকের

fec-image

নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা বাজারে করা সেই মানববন্ধন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগী কৃষক চাকঢালা বাজার পাড়ার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে আবদুল আলম । তিনি সে দিনে এ মানববন্ধনকে সাজানো নাটক দাবি করে বলেন, তিনি একজন কৃষক। দেশের আইনের প্রতি তার বিশ্বাস ও আস্থা অগাধ। সে কারণে তিনি জমিজমা নিয়ে মুখে কিছু না বলে কাগজে সব ধরনের ব্যাখ্যা দেন সাংবাদিকদেরকে।

শুক্রবার ( ১২ জানুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থল চাকঢালা গয়ালকাটা এলাকার ঘটনাস্থলে একদল সাংবাদিকদের বলেন, গত ১০ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে করা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা বাজারে তার বিরুদ্ধে করা যে মানববন্ধন হয়েছে তা তার এ চাচাতো নানা মৌলানা আলী আকবরের সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই না।

কৃষক আবদুল আলম বলেন, মূলত ২৭০ নম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি মৌজাধীন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নস্থ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চাকঢালা গয়ালকাটা নামক এলাকায় তার এ নানা মৌলানা আলী আকবরের দু’খন্ড জমি ছিল এক সময়। যার একখণ্ড প্রথম শ্রেণির অপর খণ্ড তৃতীয় শ্রেণির। এ জমি দু’টি তিনি ২০০০ সালের পরপর এবং ২০১৭ সালের পর সব বিক্রি করে দেন তার কাছে এবং অপর স্থানীয় লোকজনের কাছে। যার সব কাগজপত্র নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর ও তার কাছে ( আবদুল আলমের) সংরক্ষিত রয়েছে।

তথাপি এ মৌলানা নানান শঠতা তথা ধূর্ততার বশবর্তী হয়ে সেই বন্ধকি ও বিক্রীত জমি পুনরায় দখলে নিয়ে ভোগদখলের চেষ্টা চালান আর একের পর এক মিথ্যা মামলা করেন তার বিরুদ্ধে সহ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। যে সব মামলা ও অপতৎপরতার কোনো কিছুতেই সফল হয়নি সে । তদন্তে বার বার হেরে যান তিনি। আর জমি দখলে থেকে তিনি দীর্ঘ ৮ বছর বাগান ও হালচাষ করে আসছেন তিনি। যা স্থানীয় কয়েক গ্রামের লোকজন জানেন। আর তার করা অনেক অভিযোগ তদন্তাধীন আছে।

আবদুল আলমের দাবি, মৌলানা আলী আকবরের মামলায় হয়রানিতে তার ১ ভাই পো আবদুর রশিদ বান্দরবানের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে গিয়ে ফেরত আসার সময় মৃত্যু বরণ করে।

তিনি আরো জানান, সর্বশেষ গত ৫ জানুয়ারি তার সাথে সংঘটিত যে ঘটনা নিয়ে মৌলানা আলী আকবর মানববন্ধন করিয়েছেন তাও তার ( আবদুল আলমের) বিরুদ্ধে মামলা করতে একটি সাজানো নাটক,মামলার ফাঁদ ও একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। সে দিন মৌলানা সাহেব ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তার সাথে কারও মারামারিও হয়নি ধস্তাধস্তিও হয়নি। বরং তিনি হুমকি দিয়ে আর বকাসকা করে ফিরে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু তার বিধি বাম। যে উদ্দেশ্যে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তাতে তিনি সফল সফলতার মুখ দেখেন নি । কেননা মারামারি বা আঘাতের কোন আলামত তিনি দেখাতে পারেন নি হাসপাতালের চিকিৎসকদের । আর সেই কারণেই তিনি কোথাও অভিযোগ দিতেও পারেন নি। পরে কিছু কুচক্রির পরামর্শে পুলিশকে চাপে ফেলতে “একজন আলেমকে বর্বরোচিত হামলা ও হত্যা চেষ্টা” বলে বেনার-পোস্টার বানিয়ে মানববন্ধন ও সাংবাদিকদের মিথ্যা বক্তব্য ও তথ্য সরবরাহ করে পত্রিকা ছাপানোর ব্যবস্থা করেন তিনি। যাতে এলাকাবাসী হতাশ হয়েছে। ঘটনা কাল্পনিক বলে সকলে ব্যাপক সমালোচনা করেন।

সুতরাং তিনি (আবদুল আলম) মৌলানা আলী আকবর ও তার পরিবার পরিজনের এ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান । পাশাপাশি ওনার কথায় বিশ্বাস না করে কাগজ-পত্রে জমির বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপনে সাংবাদিক, পুলিশ, গোয়েন্দা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সকলের বিনীত অনুরুধও জানান আবদুল আলম ও তার ভাইসহ পরিবার-পরিজন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়ি, মানববন্ধন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন