মানুষের ভালবাসা নিয়ে আজীবন বেঁচে থাকতে চাই: মেয়র মুজিব
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, মানুষের ভালবাসা নিয়ে আজীবন বেঁচে থাকতে চাই। জীবন দিয়েই সম্মানের প্রতিদান শোধ করবো। আমি তোমাদেরই লোক। আর কিছু নয়। এই হোক আমার শেষ পরিচয়।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম ও ফ্রান্সে ১১ দিনের সরকারি সফর শেষে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছলে স্বতঃস্ফূর্ত জনতার সংবর্ধনার জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে নগর পিতা কক্সবাজার আগমনের সংবাদে বিমানবন্দর ঘিরে গড়ে উঠে মানবপ্রাচীর। ফুলের মালা আর বুকেট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে মুজিব ভক্তরা।
ব্যানার, ফেস্টুন আর প্লেকার্ড হাতে নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে এয়ারপোর্ট প্রাঙ্গণ। শুধু তাই নয়, জননেতাকে বরণ করতে রাস্তার দু’পাশে লাইনে দাঁড়ান শত শত নারী। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীরাসহ নগর পিতাকে শুভেচ্ছা জানান জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ ও কক্সবাজার পৌর পরিষদসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার নারী পুরুষ।
এসময় জনতার ভালবাসায় সিক্ত মেয়র মুজিব অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়তে দেখা যায়।
এর আগে ২৭ জুন বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি।
সফরকালে বাংলাদেশে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসহ যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের দেয়া গণসংবর্ধনায় যোগ দেন মেয়র মুজিব।
একই সাথে সরকারি প্রশিক্ষণ ছাড়াও যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাঙালিদের দেয়া সংবর্ধনা এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়রের দেয়া আলাদা সংবর্ধনায় যোগ দেন কক্সবাজারের নগর পিতা।
পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের বার্কিং কাউন্সিলের লিডার ড্যারেন রড ওয়েলের আমন্ত্রণে বার্কি টাউন হল পরিদর্শন করেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এসময় মেয়রকে স্বাগত জানান এসেম্বিলি মেম্বার ফর সিটি এন্ড ইস্টি উমেস দেসাই ও বার্কিং কাউন্সিলের লিডার ড্যারেন রড ওয়েল।
এরপর মেয়র মুজিবুর রহমানকে লন্ডন বারো অফ বারকিং এন্ড ডেগেনহাম কাউন্সিল টাউন হল ঘুরিয়ে দেখান। সেখানে রাষ্ট্রীয় রীতি অনুযায়ী মেয়র মুজিবুর রহমানকে গাউন পরিয়ে দিয়ে বিশেষ সম্মান জানানো হয়।
সবশেষে দেশের ফেরার আগে রানী এলিজাবেথ এর বাসভবন ঘুরে দেখেন মেয়র মুজিব।
সারাদেশের ৩২৮টি পৌরসভার মধ্যে কক্সবাজারের মেয়রসহ ৮টি প্রথম শ্রেণির বিশেষ পৌরসভার মেয়র রাষ্ট্রীয় এই সফরে অংশ নেন।
আর ব্যতিক্রমী এই ৫ দেশ সফরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিদেশের আদলে কক্সবাজারকে গ্রীন সিটি হিসেবে গড়ে তোলা এবং এখানকার পর্যটন শিল্পের অমূল পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন মেয়র মুজিবুর রহমান।