রামগড়ে কসমিক কৃষি খামারের ৩শতাধিক লিচু ও কাঁঠাল গাছ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা

fec-image

 ভূমি জবরদখল ও অগ্নিসংযোগের মামলা তুলে না নেয়ার জের

গাছ কাটা

রামগড় সংবাদদাতা:

খাগড়াছড়ির রামগড়ে কসমিক কৃষি খামার(ঢাকা বাগান) নামে ব্যক্তি মালিকাধীন একটি বাগানে গত বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে একদল উপজাতীয় সন্ত্রাসী তিন শতাধিক লিচু ও কাঁঠাল গাছ কেটে দিয়েছে। এর একদিন আগে ঐ সন্ত্রাসীরা বাগানটির অফিস ঘর ভাংচুর এবং শ্রমিকদের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

স্থানীয় কতিপয় সন্ত্রাসীদের নামে কোর্টে দায়ের করা ভূমি জবর দখল ও ঘরে অগ্নিসংযোগ ঘটনার একটি মামলা তুলে না নেয়ায় গাছ কাটা এবং অফিস ঘর ভাংচুর ও ঘরে তালা ঝুলানোর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট বাগানের তত্ত্বাবধায়ক।

জানা যায়, উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের তৈচাকমাপাড়া এলাকায় অবস্থিত কসমিক কৃষি খামার(ঢাকা বাগান)নামে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগানটিতে গত বৃহষ্পতিবার রাত ১১টার দিকে ৪০-৪৫জনের একটি সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসী দল ধারালো দা ও কুড়াল দিয়ে একে একে প্রায় তিন শতাধিক লিচু ও কাঁঠাল গাছ কেটে দেয়। ৮-১০ বছর বয়সী ফলবান গাছগুলোর গোড়ায় কেটে মাটিতে শুইয়ে দেয়া হয়।

বাগানের তত্তাবধায়ক আবদুল কাইয়ুম জানান, এর একদিন আগে বুধবার রাতে ঐ সন্ত্রাসীরা বাগানের অফিস ঘর ভাংচুর করে গুঁড়িয়ে দেয়। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে বাগানের পাহারাদার ও শ্রমিকদেরকে অস্ত্রের মুখে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। তিনি জানান, প্রাণ নাশের হুমকীরমুখে ঐ কর্মচারীরা বাগান ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

আবদুল কাইয়ুম আরও জানান, গত বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে খুমিন্দ্র নামে এক সন্ত্রাসী তাঁর মোবাইল ফোনে কল করে খাগড়াছড়ি কোর্টে বিচারাধীন একটি মামলা তুলে নিতে হুমকী দেয়। ঐদিন রাতেই বাগানের গাছগুলো কেটে দেয়া হয়।

তিনি জানান, ২০১১ সালে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্ত বাগানের বেশ কিছু জায়গা জবর দখল করার চেস্টা করে এবং ঐ সময় বাগানের একটি ঘরেও তারা অগ্নিসংযোগ করে। ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিন্দ্র, জমিন্দ্র, নমিন্দ্র, মেরা চাই, চন্দ্র মোহন, রাহেন্দ্র ও লোকচান ত্রিপুরা নামে ব্যক্তিদের আসামী করা হয়। বর্তমানে মামলাটি কোর্টে চলমান আছে।

তিনি অভিযোগ করেন, এ মামলাটি তুলে নেয়ার জন্যই তাঁকে বেশ কিছুদিন ধরে হুমকী ধমকী দেয়া হচ্ছিল। মামলা প্রত্যাহার না করার কারণে তারা বাগানের গাছ কাটা,অফিস ঘর ভাংচুর সহ একের পর এক ক্ষতিসাধন করছে। তিনি জানান, ঐ সন্ত্রাসী গ্রুপটি চাঁদা না পেয়ে এর আগে বেশ কয়েক দফা বাগানে হানা দিয়ে হাজার হাজার ফলদ ও বনজ গাছ কেটে দেয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে বাগানটির গাছ কাটা ও অফিস ঘর ভাংচুরের ঘটনার সম্পর্কে রামগড় সার্কেলের এএসপি মো: শাহ জাহানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে এখনও কেউ এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।

ছবি- আর্কাইভ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন