রামগড়ে মুক্তিপণে ছাড়া পেল কুরিয়ার সার্ভিসের অপহৃত ২ স্টাফ

খাগড়াছড়ির রামগড়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের দুইজন কর্মচারী মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পেয়েছেন।
সোমবার (১১ এপ্রিল) গভীর রাতে অপহৃতরা কাভার্ড ভ্যান চালক মো. আব্বাস এবং রানার মো. আল-আমিনের চোখ বেধেঁ খাগড়াছড়ির অজ্ঞাতস্থানে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
তাদের মুক্তি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন রামগড় থানার ওসি শামছুজ্জামান ও সুন্দরবন কুরিয়ারের ফেনীর এজিএম মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, মুক্তি পাওয়া আব্বাস ও আল আমিন তাদের বাড়ি ফিরে গেছেন। শারিরীকভাবে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অপহরণকারীরা তাদের চোখ বেধেঁ দীঘ পথ পায়ে হাটিয়ে অজ্ঞাত এক স্থানে সোমবার (১১ এপ্রিল) রাতে ছেড়ে দেয়। পরে তারা সিএনজি অটোরিকসা করে বারৈয়ারহাট এসে ঢাকায় সুন্দরবন কুরিয়ারের হেড অফিসে পৌঁছেন। কিভাবে তারা মুক্তি পেলেন এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেনা না বলে জানান। তবে অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণের বিনিময় অপহরণকারিা তাদের ছেড়েছে।
শনিবার(৯ এপ্রিল) জেলা সদর থেকে ডাক নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে রামগড়ের দাতারামপাড়া রাস্তারমাথা এলাকায় সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ড ভ্যান আটকিয়ে চালক মো: আব্বাস রানার আল আমিনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় উপজাতি সন্ত্রাসীরা। অপহরণকারিরা দুজনের মুক্তিপণ বাবদ প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকায় নেমে আসে তারা। শেষমেষ কুরিয়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্টরা দুদিন দফায় দফায় দর কষাকষির পর তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ এবং খাগড়াছড়িতে কুরিয়ারের ব্যবসা চালু রাখতে বাৎসরিক চাঁদা পরিশোধ করে টোকেন নেওয়ার শর্তে অপহরণকারীদের সাথে সমঝোতা হয়।
সূত্র জানায়, সোমবার (১১ এপ্রিল) মুক্তিপণের টাকা পরিশোধের পর রাতে দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয় । ইউপিডিএফের প্রসীত গ্রুপের সন্ত্রাসীরা এ অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে ।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে মোবাইল ফোনে অপহৃত চালক আব্বাসের সাথে কথা বলে তাদের মুক্তি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত হয়েছেন।