অস্ত্র, মাদক, জাল টাকা ও ওয়াকিটকি উদ্ধার

রামুর শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীনের ডেরায় যৌথ বাহিনীর অভিযান

fec-image

কক্সবাজারের রামু উপজেলার পূর্বাঞ্চলের অস্ত্র চোরাচালানসহ বহু মামলার আসামি, শাহীনুর রহমান শাহীন ওরফে ডাকাত শাহীনের ডেরায় অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে অস্ত্র, মাদক, জাল টাকা ও ওয়াকি টকি উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক (সহকারী পুলিশ সুপার) আ. ম. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব জানিয়েছে- ক্রমাগত মাদক ও অস্ত্র বিরোধী অভিযান এবং চলমান গোয়েন্দা তৎপরতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডস্থ মাঝিরঘাটা গ্রামের পলাতক আসামী শাহীনুর রহমান শাহীন এর বসতঘরে সে ও তার কয়েকজন সহযোগী’সহ মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে রবিবার ভোরে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫, পুলিশ, বিজিবি সমন্বয়ে আসামী শাহীনুর রহমান শাহীন এর বিল্ডিং ঘরের সামনে অভিযান পরিচালনা করে।

যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আসামী শাহিন’সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা ঘরের পিছন দিয়ে পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যে রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তিনি সহ র‌্যাব,

পুলিশ, বিজিবি সহ আসামী শাহীনুর রহমান শাহীনের বসতঘরে প্রবেশ করে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশী করে ২টি ১২ বোর কার্তুজসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, পিতলের খালি খোসা, গাঁজা, জাল টাকা, ১ টি ওয়াকটিকি সেট, ১টি কালো রংয়ের বাইনোকুলার জব্দ করা হয়।

পলাতক আসামী শাহীনুর রহমান শাহীন একজন অস্ত্রধারী ডাকাত। সে দীর্ঘদিন বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে। তার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা রয়েছে। উদ্ধারকৃত আলামত রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক (সহকারী পুলিশ সুপার) আ. ম. ফারুক জানিয়েছেন- র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায়

হত্যা, ধর্ষণ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক, অপহরণ ও দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও নানাবিধ অপরাধ দমনে যৌথ বাহিনী কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে।

পুলিশের তথ্য সূত্র বলছে, সিআর ও জিআর মামলা এবং জিডিসহ প্রায় ১৭ মামলার পলাতক আসামি ডাকাত শাহীন। তার দুই ডজন মামলার মধ্যে ৯টি ডাকাতি, ডাকাতি প্রস্তুতি ও ছিনতাই, ৪টি হত্যা মামলা, দুটি অস্ত্র মামলা, দুটি মাদক মামলা এবং বাকিগুলো বিভিন্ন থানায় জিডি হিসেবে রয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: রামু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন