অপহরণের দেড় মাস পর আ’লীগ নেতার হস্তক্ষেপে স্কুলছাত্রী উদ্ধার
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় অপহরণের দেড় মাস পর অপহৃত ৮ম শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী উদ্ধার হয়েছে। জেলা আ’লীগ সদস্য এস.এম গিয়াস উদ্দিনের জরুরী হস্তক্ষেপে ছাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ছাত্রীর মা রুবি আকতার। ওই সময় অপহরণকারীকে আটক করতে না পারলেও নিয়ে যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে। আ’লীগ নেতার মহৎ কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার।
গত ২২ আগস্ট পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মধ্যম বাইম্যাখালী ব্রীজের উপর থেকে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল একদল দূর্বৃত্ত। ছাত্রী পশ্চিম বাইম্যাখালী এলাকার প্রবাসী মাহমুদুল করিমের মেয়ে ও পেকুয়া আদর্শ মহিলা মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী।
উদ্ধারকৃত মাদ্রাসা ছাত্রীর মা রুবি আকতার বলেন, গত ২২ আগস্ট মেয়ে নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে মধ্যম বাইম্যাখালী ব্রীজের উপর গাড়ির জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় রাজাখালী ইউনিয়নের ফরিদ মাঝির ছেলে মো. রিদুয়ান একদল দূর্বৃত্ত নিয়ে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার শরীরে পরিহিত প্রায় ৫ভরি স্বর্ণালংকারও নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজার পর না পেয়ে পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দিয়েও পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করতে পারেনি।
উপায়ন্তর না পেয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি তদন্তভার দেন সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)। মামলা পরবর আমি বিষয়টি কক্সবাজার জেলা আ’লীগ সদস্য এস.এম গিয়াস উদ্দিকে অবগত করি। তিনি আমার মেয়েকে উদ্ধারের আশ্বাস দিয়ে তা কার্যকরও করেন।
সর্বশেষ শুক্রবার (৫অক্টোবর) আ’লীগ নেতা আমার কিশোরী মেয়েকে উদ্ধার করে আমার জিম্মায় দিয়ে দেন। ওই সময় কিছু স্বর্ণ অপহরণকারী রেখে দিলেও ৪ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে আমাদের দিয়ে দেন আ’লীগ নেতা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আ’লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, মেয়ের পরিবার থেকে আমাকে বিষয়টি জানানোর পর খোঁজখবর নিয়ে মেয়ে কোথায় আছে তা সনাক্ত করি। শুক্রবার তাকে উদ্ধার করার পর জানতে পারি তাদের ভিতর প্রেমের সম্পূর্ক ছিল। তবে মেয়েটি ৮ম শ্রেনীতে পড়ে। কিছুতেই বিয়ে হওয়া সম্ভব নয়। বয়স পূর্ণ হলে বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মেয়েকে মা হাতে দিয়েছি।