অবশেষে পেকুয়ার রাজাখালী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি ক্লোজ, এলাকায় স্বস্তি

পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মীর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত দু’দিন আগে থেকে তাকে রাজাখালী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পেকুয়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সৃষ্ট ঘটনায় তদন্ত করতে সরেজমিনে পরিদর্শনে রাজাখালীতে গেছেন কক্সবাজারের সি.সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ মাসুদ আলম।

গতকাল ১৩ এপ্রিল সোমবার বিকালে সি.সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ মাসুদ আলম সবুজ বাজারে পৌঁছলে শত শত জনতা ও ব্যবসায়ীরা তাকে ঘটনার স্বপক্ষে স্বাক্ষী দিয়েছেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন পেকুয়া থানার ওসি আবদুর রকিব। এদিকে গত ১২ এপ্রিল পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মীর মোহাম্মদ ওই ইউনিয়নের বামলার পাড়া এলাকার বাসিন্দা বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদের জেলা সম্পাদক মেহেরাজ উদ্দিন কামালকে আটক করে। পরে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

ওই ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে আইসির বিরুদ্ধে হাজার হাজার নারী পুরুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরে জনতার উত্তপ্ত পরিস্থিতি ঠেকাতে পুলিশের উর্ধতন মহল তৎপর হন। ওই দিন আইসিকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সন্ধ্যায় সহকারী পুলিশ সুপার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পেকুয়া এসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নেতাকে দেখতে যান।

জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল রাজাখালীতে বিতর্কিত ওই আইসির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। ওই দিন এক কিশোরকে আটকিয়ে একটি ফাঁসানো ধর্ষণ মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করেন পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে ১০ হাজার টাকা না দেয়ায় ওই কিশোরের বিরুদ্ধে পুলিশের এ অমানবিক আচরণ হয়েছে। ওই দিন বিক্ষুব্ধ জনতা আইসিকে সবুজ বাজারের একটি কুলিং কর্নারে প্রায় ১ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাকে ধাওয়া দেয়।

আরো জানা গেছে, আহত বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ জেলা সাধারণ সম্পাদক মেহেরাজ উদ্দিন কামাল গতকাল বাদি হয়ে আইসি সহ জড়িত পুলিশ ফাঁড়ির আরো কয়েকজন পুলিশ জোয়ানের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় একটি লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন। পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) শহিদুল্লাহ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ মাসুদ আলম জানান, বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। আইসিকে ক্লোজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন