‘অবৈধ অস্ত্রধারীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় পার্বত্যাঞ্চলের বাঙালীরা’

fec-image
১৯তম পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা

Rangamati trajedi 001

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:
পার্বত্যাঞ্চলের বাঙালীরা উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্রের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য বাঙালীভিত্তিক ৬টি সংগঠনের নেতারা।

তারা বলেন, সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমার সাথে শান্তি চুক্তি করলেও পাহাড়ে কিন্তু শান্তি ফিরে আসেনি। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ২৩৮টি সেনা ক্যাম্প সরিয়ে নেওয়ার পর পাহাড়ে গুম, খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বেড়ে গেছে। এর পরেও বর্তমান সরকার শান্তি চুক্তির ৪৮টি ধারা বাস্তবায় করেছে।

শান্তি চুক্তিতে পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালীদের কোন উপকার হয়নি। অথচ ১৯৯৬ সালে সন্তু লারমার সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন তৎকালিন শান্তিবাহিনী লংগদু ৩৫ বাঙালী কাঠুরিয়াকে ডেকে নিয়ে নির্মম নির্যাতন ও অত্যাচার করে হত্যা করে। দীর্ঘ ১৯ বছর অতিক্রম হলেও কোন বিচার করা হয়নি এ হত্যাকান্ডে সাথে জড়িতদের।

সোমবার সকাল ১০টায় শহরের পৌর চত্বরে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে রাঙামাটির লংগদুর পাকুয়াখালী ৩৫বাঙালী কাঠুরিয়া ১৯তম হত্যাকান্ডের দিবস উপলক্ষে শোক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের আহবায়ক বেগম নূর জাহান, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের সভাপতি মো. পিয়ার আহমেদ, গণ পরিষদের সভাপতি জালাল উদ্দীন চৌধূরী আলমগীর, পার্বত্য বাঙালী ঐক্য পরিষদের সভাপতি উজ্জল পাল, পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের আল- আমিন ইমরান প্রমুখ।

সমাবেশে ৬টি বাঙালী ভিত্তিক সংগঠনের নেতারা ৩৫ বাঙালী কাঠুরিয়া হত্যাকান্ডের বিচার ও শহীদের স্মৃতি সংরক্ষণে একটি মিনারসহ দিবসটি সরকারী ভাবে পালনের উদযোগ নিতে সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।

অন্যদিকে স্থানীয় বাঙালীদের উদ্যোগে রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় ৩৫ শহীদ কাঠুরিয়ার গণকবর জিয়ারত, দোয়া মাহাফিল ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন