অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্ত করতে শেখ হাসিনা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল: বীর বাহাদুর

RHDC Picture -08-07-15-02
স্টাফ রিপোর্টার:
অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার আমলেই বাস্তবায়িত হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

তিনি বলেন, এ সময় পার্বত্য অঞ্চলে পূর্ণিমার চাঁদ কি সাধারণ মানুষ দেখতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় এই এলাকায় শান্তি ফিরে এসেছে। তিনি শান্তি চুক্তির অবাস্তবায়িত ধারা গুলো বাস্তবায়নের জন্য আঞ্চলিক দল গুলোকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহবান জানান।

বুধবার বিকেলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রাঙামাটির বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সংগঠনের মাঝে সাংস্কৃতিক সরঞ্জাম ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর, পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহবায়ক ত্রিদীব কান্তি দাশ।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে শিক্ষকদের ভূমিকা বেশী রাখতে হবে। পার্বত্য দুর্গম এলাকার শিক্ষার মান বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা মুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় আবাসিক স্কুল স্থাপনের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শুধু আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপন করলে হবে না। আমাদের ছেলে মেয়েদেরকে শিক্ষিত করে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদের। তিনি বলেন, আমরা কাচা ছেলে মেয়ে দেবো সেই সব কাচা ছেলে মেয়েকে গুলোকে ঘষে মেজে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার দায়িত্ব আপনাদের। তিনি বলেন, আপনারা যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন তার জন্য আমরা শিক্ষকদের বেতনভাতা বৃদ্ধি করার উদযোগ নিয়েছি।

পরে প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতি কর্মকাণ্ড বাড়াতে বাদ্য যন্ত্র ও বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনকে ক্রিকেট সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment
আরও পড়ুন