অস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটকের পর সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বানিয়ে মুক্তির পাঁয়তারা

পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় অস্ত্র ও ইয়াবাসহ জামায়াত ক্যাডারকে আটক করার পর সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বানিয়ে মুক্তির পাঁয়তারা শুরুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে ইউনিয়ন আ’লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা যায়, মগনামা ইউনিয়নের মিয়াজিপাড়া থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর অস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক হয় আবুল কাসেম (২৫) নামের এক জামায়াত ক্যাডার। আটকের পর থেকে তাকে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বলে দাবি করছে মগনামা ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ। বিগত এক সপ্তাহ ধরে মগনামা ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সৌজন্যে তার মুক্তির দাবীতে ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টারও সাঁটানো হয়।

এই পোস্টার সাঁটানোকে কেন্দ্র করে মগনামা ইউনিয়ন এবং পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। একজন জামায়াত ক্যাডারকে বাঁচাতে মগনামা ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের গুটিকয়েক নেতা এহেন মিথ্যার আশ্রয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও মর্মহত হয়েছেন। এদিকে, আবুল কাসেম সম্পর্কে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, আবুল কাসেম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ওয়ার্ড পর্যায়ের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। যা ওই সংগঠনের তৎকালীন ওয়ার্ড সভাপতি আব্দু রহিম নিশ্চিত করেছেন।

আব্দু রহিম আরো জানান, পরবর্তী সময়ে সে কক্সবাজার জেলা ছাত্র শিবিরের তৎকালীন সভাপতি শহিদুল মোস্তাফার সাহচার্য পায় এবং তার দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠে।
পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আ’লীগ নেতা মমতাজুল ইসলাম বলেন, আবুল কাসেম ও আমি একই এলাকার বাসিন্দা। আমাদের চোখের সামনে তার বেড়ে উঠা। সে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার দেখা মতে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিলনা। বরং মগনামা ইউনিয়নে আ’লীগ বিরোধী যত কর্মকান্ড সংগঠিত হয়েছে, তাতে তার ভূমিকা উলে¬খযোগ্য। এখন যদি তাকে আ’লীগ নেতা বা কর্মী বলা হয়, সেটা আ’লীগের মুখে কালিমা লেপন ছাড়া কিছু নয়।

মগনামা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও গত ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের একক চেয়ারম্যান প্রার্থী খাইরুল এনাম বলেন, বিগত ইউপি নির্বাচনেরও আবুল কাসেম জামায়াত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। এমনকি অস্ত্র ও মাদকসহ আটক হওয়ার পর তার জন্য সবচেয়ে বেশি মায়াকান্না করা মগনামা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ রিপনও জামায়াত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। আবুল কাসেম মগনামা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোন নেতা বা কর্মী নয়। তিনি বিস্মিত হয়ে বলেন, অস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক হওয়ার পর জামায়াত ক্যাডার হয়ে গেল সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা!

গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের মিয়াজিপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ আবুল কাসেমকে আটক করে পেকুয়া থানার এসআই কামরুল হাসান ও তা সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স। ওই ঘটনায় পেকুয়া থানার এসআই কামরুল হাসান বাদি হয়ে অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক দু’টি মামলা হয়। যার নং-০১/১৬ ও ০২/১৬।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন