আত্মহত্যা নাকি হত্যাকান্ড!

মহেশখালী প্রতিনিধি :

মহেশখালীর হোয়ানকে দুই সন্তানের মা ও প্রতিবেশী এক তরুণের ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। মহেশখালীতে বৃহস্পতিবার দিনভর প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল এটি।

জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাতে একইসময় দুজনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন- ছনখোলাপাড়া এলাকার প্রবাসী ফরিদুল আলমের স্ত্রী শারমিন আকতার (৩০) ও একই এলাকার মৃত বাঁচা মিয়ার অবিবাহিত ছেলে মো. ইলিয়াস ওরফে কালাচান (২০)।

পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করেছে থানা।

মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১১ বছর আগে ওই এলাকার ইউসুফ জালালের ছেলে ফরিদুল আলমের সাথে অনেকটা পালিয়ে বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী নবাব মিয়ার মেয়ে শারমিন আকতারের। তাদের সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে শিশু রয়েছে। গত ৭ বছর আগে ফরিদুল আলম দূরে আলাদা একটি সেমি পাকা বাড়ি করে বিদেশ চলে যান। বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন স্ত্রী শারমিন। একপর্যায়ে শারমিন আকতার একজন এনজিও কর্মীর সাথে পালিয়ে গিয়ে প্রায় ৪-৫ মাস চট্টগ্রাম শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থান করেন। পরে এলাকার মুরব্বিদের মধ্যস্থতায় এবং ভাইদের সহায়তায় সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। তখন সন্তানদের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে নতুনভাবে সংসার শুরু করেন ফরিদ-শারমিন দম্পতি।

তবে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে আলাপকালে উঠে এসেছে নানান তথ্য। নতুন বাড়িতে বসবাস শুরু করলেও পরিবারে কোনো পুরুষ সদস্য না থাকায় শারমিনের সংসারে প্রাত্যহিক বাজার করে দিতেন প্রতিবেশী যুবক ইলিয়াস। আর সেই সুবাদে শারমিনদের ভিটের সাথে লাগোয়া খালি জমিতে ক্ষেত করতেন তিনি। প্রায় ৩ বছর আগে তাদের সখ্যতা অনৈতিক সম্পর্কের দিকে গড়ায়। এ নিয়ে নানা মুখরোচক কথা রটতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে শারমিনের বিদেশে থাকা স্বামীর কানে পৌঁছায়।

এসব ঘটনার পর এই দুই জনের একই সময়ে অপমৃত্যুকে নিয়ে দেখা দিয়ে নানা সন্দেহ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন