আহত ৮ জেলের দেয়া তথ্য মতে কক্সবাজারে ১৫ জলদূস্য আটক

আটক

স্টাফ রিপোর্টার:
কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেকস্থ বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে আহত অবস্থায় ৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড এর সদস্যরা। এসময় আহতদের তথ্য মতে আটক করা হয়েছে ১৫ জলদূস্যকে। একই সঙ্গে একটি ট্রলার জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার দিকে ৩ টায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।

কক্সবাজারস্থ কোস্টগার্ডস্থ কন্টিনেটর কমান্ডার সাইদুর রহমান জানান, সাগরে একটি ট্রলারে জলদূস্যতার খবর পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টা থেকে সমুদ্র তীরবর্তী বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে ৫ টার দিকে শহরের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে ৮ মাঝিমাল্লাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এবং ১৫ জন জলদূস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় জলদূস্যদের ব্যবহৃত ১ টি ট্রলারও জব্দ করা হয়েছে।

আহতরা হলো, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের মৃত করিম ধারের পুত্র শফিকুল আলম (৪৫), মৃত অলি আহমদের পুত্র নুরুল কাদের (৪৫), মৃত আব্দুস সবুরের পুত্র আব্দুল মান্নান ( ২৫), মৃত বজল আহমদের পুত্র হাসান (১৮), আব্দুল কাদের মানিকের পুত্র মো. সাত্তার (১৯), জাফর আলমের পুত্র মো. বেলাল ( ২৪), গিয়াসউদ্দিনের পুত্র মো. ওসমান (১৯) ও মোস্তাক আহমদের পুত্র মো. শহিদুল ইসলাম লিটু ( ২৪)। আহতরা সবাই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিনি আরো জানান, এঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ১৫ জন জলদূস্যকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলো কক্সবাজারের সদর উপজেলার খুরুশ্কুলের মৃত মো. হোসেনের পুত্র মো. জামাল উদ্দিন, মৃত মোক্তার আহমদের পুত্র মো. এজাহার মিয়া, মৃত মকবুলের পুত্র জাহাঙ্গীর, আইয়ূব আলীর পুত্র অলিউল আলম ও তার সহোদর রবিউল হাসান, মো. হোসেনের পুত্র নুরুল আজিম, মৃত বাচা মিয়ার পুত্র ছালি আহমদ, মৃত ইলিয়াছের পুত্র সবুজ, মৃত নুরাল আলমের পুত্র সোবাহান আলম, মৃত মমতাজ মিয়ার পুত্র নুরু সাবের, মৃত রিদুয়ানের পুত্র নুরুল আলম, মৃত বদর আলমের পুত্র জহির আলম, নাজির হোসেনের পুত্র আবুল কালাম, কাশেম আলীর পুত্র সলিমুল্লাহ ও জিলনের পুত্র আশিক।

জলদূস্যদের হামলায় আহত শফিকুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১ টার দিকে নাজিরারটেক মোহনা থেকে প্রায়ই ৮ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে ৩ টি ট্রলারে করে জলদূস্যরা অতর্কিত তাদের উপর হামলা করে। এসময় জলদূস্যরা তাদের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের মাছ কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। তারা খবরটি তাৎক্ষণিক তাদের ট্রলার মালিককে জানায়। পরবর্তীতে ট্রলার মালিক কোস্টগার্ডের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ১৫ জলদূস্যকে আটক করেছে। এ ঘটনায় ট্রলার মালিক বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, আটক ১৫ জলদূস্য কক্সবাজার সদর থানার হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন