ইউএনও’কে দুর্লভ চম্পাফুল গাছ উপহার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:
বান্দরবানের লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ৬০ বছর বয়সী দুর্লভ মাদার ট্রি চম্পাফুল গাছ উপহার দিয়েছেন স্থানীয় তুলা ম্রো নামে এক সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা। সরকারিভাবে মূল্যবান চম্পাফুল গাছ কাটার কোন নিয়ম নেই বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিএফ মো. জগলুল হোসাইন।
সরেজমিনে দেখা যায়, লামার রুপসীপাড়া বাজারে মো. জাহেদ উদ্দিনের করাত কলে ৫/৬ ফুট বেড়ের বড় একটি চম্পাফুল গাছের ৭ ফুট লম্বা সাইজের ৯ টুকরা কাঠ মজুদ রয়েছে। গাছটির আনুমানিক বয়স ৬০ বছর হতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করেন।
পরিবহনের শ্রমিকরা জানায়, রুপসীপাড়া ইউনিয়নের চিংকুম পাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা তুলা ম্রো এই চম্পাফুল গাছটি লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নুকে উপহার দিয়েছেন। কয়েকদিন যাবৎ লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জের লোকজন অবৈধ এই গাছের তথ্য পেয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারণে তারা গাছটি জব্দের উদ্যোগ নেয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিএফ মো. জগলুল হোসাইন বলেন, চম্পাফুল গাছ কাটার কোন অনুমতি বন বিভাগ দিতে পারেনা। ব্যক্তিগত গাছ হলেও তা কাটতে নিরুৎসাহিত করি আমরা।
এই বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা’র ক্ষয়ক্ষতি দেখতে চিংকুম পাড়ায় গেলে আমাকে উপহার হিসেবে তুলা ম্রো গাছটি উপহার দেয়। গাছটির বৈধ কাগজ পত্র তৈরি করতে বন বিভাগে লোকজন পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় লোকজন বলেন, তুলা ম্রো বিভিন্ন সময় অনেক উর্ধ্বতন লোকজনকে বনের হরিণ, মোরগ, উন্নত জাতের গাছ দিয়ে নিজের ফায়দা হাসিল করেন।
লামা সদর রেঞ্জার মো. মাসুদ আলম জানান, যেকোন গাছ কাটার পূর্বেই অনুমতি নিতে হয়। এই গাছটি কাটার সময় বন বিভাগ থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি। আমরা বৃহস্পতিবার গিয়ে গাছটি জব্দ করে স্থানীয় একজনের হেফাজতে রেখেছি।
লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, চম্পাফুল গাছ কাটার বা অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই।