ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানালো জেএসএস
আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:
পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি নেতা পাপুল বিকাশ চাকমার উপর গুলিবর্ষনের ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফকে দায়ী করে জনসংহতি সমিতি ও তার সহযোগি সংগঠনের নেতারা,ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এই দাবি জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির উদ্যোগে সকালে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা জনসংহতি কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশ করে। যুব সমিতির সাধারন সম্পাদক তাপস চাকমার সঞ্চালনায় ও সভাপতি সুনির্মল দেওয়ানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের দপ্তর সম্পাদক রনো চাকমা, যুব সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সমরজ্যোতি চাকমা, জনসংহতি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক শরৎজ্যোতি চাকমা ও জনসংহতি সমিতির স্টাফ সদস্য উদয়ন ত্রিপুরা।
সমাবেশে বক্তারা বুধবার রাতে শহরের রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পার্বত্য যুব সমিতির জেলা কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক পাপুল বিকাশ চাকমার উপর হামলার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ি করে করে বলেন,লংগদু থেকে ৫২ জনকে অপহরণের পাঁচমাস পরও মুক্তি না দেয়া,বাঘাইছড়ি থেকে টেলিটকের ৪ কর্মকর্তাকে অপহরণ করে কোটি টাকা মুক্তিপন দাবি করার পরও সরকার বা স্থানীয় প্রশাসন “সন্ত্রাসী” সংগঠন ইউপিডিএফ এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় তারা খোদ শহরে এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার সাহস পাচ্ছে। তারা অবিলম্বে ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
প্রসঙ্গত,বুধবার রাত পৌনে নয়টার সময় মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় শহরের রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সশস্ত্র দৃর্বত্তরা জনসংহতি সমিতির সহযোগি সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির রাঙামাটি জেলা কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক পাপুল বিকাশ চাকমাকে গুলি করে। আহত পাপুলকে প্রথমে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।