ইন্দোনেশিয়ায় ডুবে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীবাহী নৌকা উদ্ধার

fec-image

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহন করা একটি কাঠের নৌকা ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে ডুবে যাওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ইন্দোনেশিয়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী জাহাজ নৌকাটি খুঁজে পায়। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

উদ্ধারকারী জাহাজে থাকা এপি’র আলোকচিত্রী জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযানের পর, মুসলিম শরণার্থীদের ১০ জনকে স্থানীয় মাছ ধরার জাহাজে করে ডাঙায় নেওয়া হয়েছে। আরও ৫৯ জনকে নৌবাহিনীর একটি জাহাজে তোলা হয়েছে।

রাতভর বৃষ্টির ফলে নৌকাটিতেও অবস্থানরত নারী, পুরুষ ও শিশুদের অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যাচ্ছিল। উদ্ধার অভিযানের পর তাদেরকে রাবারের একটি ডিঙি নৌকা করে উদ্ধারকারী জাহাজে তোলা হয়েছিল।

বুধবার ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে ডুবে যায় রোহিঙ্গা শরণার্থীবাহী কাঠের নৌকাটি। তবে সেসময় নৌকাটিতে কতজন রোহিঙ্গা ছিল তা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ জন রোহিঙ্গা ছিল নৌকাটিতে। তবে এদের মধ্যে কেউ ডুবে গেছে কিনা তা জানা যায়নি।

নৌকাটি ডুবে যাওয়ার কয়েকঘণ্টা পর, বুধবার সন্ধ্যায় আচেহ প্রদেশ থেকে রওনা দেয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল। নৌকাটি উপকূলের অনেকটা দূরে চলে যাওয়ায়, সেটি শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়।

বেঁচে যাওয়া শরণার্থীরা জানিয়েছেন, নৌকাটি পূর্ব দিকে যাচ্ছিলো। হঠাৎ করেই সেটিতে ফুটো হয়ে যায়। তখন একটি শক্তিশালী স্রোত একে আচেহ প্রদেশের পশ্চিম দিকে নিয়ে যায়।

মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযানের পর অন্তত সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে উন্নত জীবন যাপনের আশায় সেখান থেকে প্রায়ই তারা প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালানোর চেষ্টা করে।

থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মতো ইন্দোনেশিয়াও জাতিসংঘের ১৯৫১ সালের শরণার্থী সনদে সাক্ষর করেনি। তাই তারা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বাধ্য নয়। তারপরও গত নভেম্বর থেকে সেখানে আশ্রয় নেয়া শরণার্থী, বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের সাহায্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, গত বছর প্রায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এসময় বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় অন্তত ৫৬৯ জন মারা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইন্দোনেশিয়া, রোহিঙ্গা শরণার্থী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন