উজানটিয়ায় পানিবন্দি মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা

পেকুয়া প্রতিনিধি::
পূর্ণিমার জোয়ারে উপকূলীয় ইউনিয়ন উজানটিয়া প্লাবিত হয়েছে। সাগরের প্রচণ্ড জোয়ারের পানির স্রোতে ওই ইউনিয়নের টেকপাড়া অংশের প্রায় ২০ চেইন এর অধিক বেড়ীবাঁধ বিলিন হয়ে গেছে। বিলিন হওয়া অংশ দিয়ে গত ১ জুলাই বুধবার থেকে উজানটিয়া খালের জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে পূর্ব ও দক্ষিণাংশের বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হযেছে।

কক্সবাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ন্ত্রিত ৬৫.২বি ফোল্ডারের বেড়িবাঁধের টেকপাড়া অংশ দীর্ঘদিন ধরে ছিল চরম ঝুঁকিতে। চলতি পূর্ণিমার ভরা তিথিতে গত কয়েকদিন ধরে সাগরের পানি আকষ্মিক ভাবে বৃদ্ধি পায়। আর এতে ওই বিধ্বস্ত অংশ বেড়ীবাঁধ সম্পূর্ন বিলিন হয়ে যায়। এতে করে উপকূলীয় উজানটিয়া ইউনিয়নের টেকপাড়া, নূরীরপাড়া, মালেকপাড়া ও সুন্দরীপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।

ফলে, এসব এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে নতুন করে জন দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। প্রায় অর্ধ শতাধিক মৎস্য ঘের ও শত শত পুকুর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। চলতি বর্ষায় আঁউশ ধানের শত শত একর জমির আবাদ অনিশ্চিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে এসব গ্রামের গ্রামীণ অবকাটামো ও রাস্তাঘাটও পানিতে ডুবে রয়েছে। হাজারেরও বেশী কাচা ঘর বাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে। অন্তত চার থেকে ৫হাজারও বেশী মানূষ পানি বন্ধী হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে রোববার সকাল ১০ টায় উজানটিয়া ইউনিয়ন বিএন’পির সাধারণ সম্পাদক ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করম চৌধুরী মিন্টু ব্যক্তি উদ্দ্যোগে এলাকার দূর্গত মানুষের কাছে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, দূর্গত মানুষের পাশে সমাজের বিত্তবান ও সমাজ সেবী সংগঠন এগিয়ে আসলে পানি বন্ধি মানুষের দূর্ভোগ কিছুটা লাগব হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মানব অধিকার কর্মী সাখাওয়াৎ হোছাইন চৌং সুজন, সমাজ সেবক শিমুল চৌং, ডাঃ রাহামত উল্লাহ, ওয়াজেদ, কবির, তানবির চৌং ও আব্দু রহমান প্রমূখ। এব্যাপারে ইউপি সদস্য এহছানুল হক জানান দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত বেড়ীবাঁধ সংষ্কার না হওয়ায় উপকূলীয় এলাকা উজানটিয়া ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ জন পদের এ বেহাল দশা। ত্রাণ চাই না দ্রুত বেড়ীবাঁধ সংষ্কা কওে পানি বন্ধি দূর্গত মানষের পরিত্রাণ চাই।

উজানটিয়া ইউপি’র চেয়ারম্যান এ.টি.এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পুরো উজানটিয়া ইউনিয়নে ২ সহস্রাধিক বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভাংগন অংশ সংষ্কার করা না হলে তার ইউনিয়নের বিপুল জনগোষ্ঠী শতাব্দির ভয়াবহ দূর্ভোগের মধ্যে থাকবে।

এছাড়া তিনি আরো জানান, তার গ্রামের এলাকার তিন পয়েন্ট ও মধ্যম উজানটিয়ার ফেরাসিংগাপাড়া পশ্চিম উজানটিয়া পাড়া, ঘোশাল পাড়া, মিয়া পাড়া ৫৫নং স্লইচ গেইট এর পয়েন্টে বেড়ীবাঁধ চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় উপনীত হয়েছে মন্তব্য করে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment
আরও পড়ুন