একুশের দিনেও পর্যটকে পূর্ণ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত


কক্সবাজার প্রতিনিধি:
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভ্রমণপিপাসু যান্ত্রিকতা পেরিয়ে উষ্ণতার খোঁজে এখন ভিড় জমিয়েছেন দেশের সর্ববৃহৎ পর্যটন নগরী ও বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ২১ এর প্রভাত ফেরিতে পুষ্পমাল্য হাতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করতে দেখা যায় বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের। তারা শহিদ দিবসের এই স্মরণীয় দিনটাকে আরো স্মরণীয় করে রাখতে পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজারে। সকাল পেরিয়ে বিকেলে দেখা যায় সমুদ্রের বালুকণা ও জলরাশিতে আনন্দ হৈ হুল্লোড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলছেন দূর থেকে বেড়াতে আসা ভ্রমণপিপাসুরা।

কক্সবাজারে তাদের বিশেষ আকর্ষণের জন্যে তো রয়েছেই নয়নাভিরাম সাগর ঘেঁষা সবুজ অরণ্যে ঘেরা পাহাড়, ঝরনা, সাগরের বালিয়াড়ি, ইনানীর পাথুরে বীচ, মহেশখালীর ঐতিহ্যবাহী আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া দ্বীপ, ছেরাদ্বীপ, সেন্টমার্টিনের মতো মন জয় করা পর্যটনস্পট।

শিশু কিশোররা তাদের কপালে লাল সবুজের ফিতা বেঁধে গালে জাতীয় পতাকা ও শহিদ মিনারের ট্যাটু লাগিয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে লাফালাফি করছে বালুকাময় সৈকতে। জলের স্নান তো কোনভাবেই এড়িয়ে যাওয়ার নয়, সাথে সাঁতার ও স্পীডবোডে চড়ার আমেজটা একটু অন্য রকম।

এমন বিশেষ দিনটি নিজের এলাকায় পালন না করে এতদূরে দেশের সর্বদক্ষিণে এসে পালন করার কারণ জানতে চাইলে পর্যটকরা জানান, বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সাথে মাতৃভাষা দিবস উদযাপনটা অন্য রকম অনুভূতির বিষয়, এতে বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে পরিচয় হওয়া যায়। সবাই মিলে ২১শে’র দিনটা আনন্দে কাটানো সম্ভব হয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উল্লেখযোগ্য- লাবণী, সী গাল, ও সুগন্ধা পয়েন্টে গুলোতে অন্যান্য সময় পর্যটক কম থাকলেও এবার ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে পর্যটকে ঠাঁসা ইউনেস্কোর তালিকায় থাকা এই সমুদ্র সৈকত।

এ সমুদ্র সৈকতের অপরূপতার প্রেমে পড়ে ছুটে আসে দেশের আরো অনেক ভ্রমণপ্রেমীরা। শুধু দেশে নয়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত তার সৌন্দর্য দিয়ে আকৃষ্ট করেছে সারা বিশ্বকেও।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন