ওবায়দুল কাদের’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার ফেনিতে মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ৪ লাখ বাঙালির কারণে পাহাড়ের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে, সে কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড় ধ্বসের মত এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে।
পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদ এর পক্ষ থেকে বলা হয়, কোন এক বিশেষ সম্প্রদায়ের পক্ষ নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য, রাষ্ট্রের এবং সরকারের একজন বিচক্ষণ ও দায়িত্বশীল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির এমন অযৌক্তিক এবং মনগড়া বক্তব্য’র ফলে পাহাড়ে উপজাতি এবং বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে পাহাড় ধ্বসে স্বজনহারা ও ভুক্তভুগি বাঙালিদের মাঝে সরকারের মানবিক ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই পরিলক্ষিত যে, বাঙালি জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ পাহাড়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং আর্থিক সচ্ছলতার উদ্দেশ্যে বানিজ্যকভাবে বাগান শুরু করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আম, কাঁঠাল, লিচু, সেগুন, কড়ই ইত্যাদি।
অন্যদিকে উপজাতি জনগোষ্ঠী পাহাড়ে জুম চাষের নামে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করছে বিপুল পরিমাণ হাজার বছরের পুরনো প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা পাহাড়-সুরক্ষাকারী গাছপালা। প্রতিনিয়ত এমন অবাধ বৃক্ষ ধ্বংসের ফলে পাহাড় হারাচ্ছে তার অভ্যন্তরীণ মাটি ধরে রাখার ক্ষমতা এবং তৈরি হচ্ছে ভয়াবহ পাহাড় ধ্বস।
মন্ত্রী মহোদয় জুম চাষের মত এমন একটি ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসের কারণ প্রতিকারের ব্যাবস্থা না করে অন্যদিকে পার্বত্য সাধারণ বাঙালিদের নিয়ে এমন অযৌক্তিক এবং মনগড়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে। সেই সাথে এমন মন্তব্য প্রত্যাহার পূর্বক পাহাড়ধ্বসের প্রধান কারণ পাহাড়ে জুম চাষাবাদ বন্ধসহ পাহাড় ও পরিবেশ রক্ষায় তিন পার্বত্য জেলাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম বৃদ্ধির জোর দাবিও জানিয়েছে তারা।
vai jan apni je jum chac karte parche na je ei karone ki ei kotha galu bolchen naki