কক্সবাজারের হোটেল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির আ’লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বাইশারী প্রতিনিধি:
কক্সবাজার শহরের হোটেল ‘পালংক্যি’ থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাঈল হোসেনের (৫০) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে হোটেলের ১০৭ নম্বর রুমে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) কামরুল আজম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেল ম্যানেজার ও রুম বয়কে আটক করা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, গোলাম রসূল মোল্লার ছেলে ইসমাঈল হোসেনের আদি বাড়ি বরিশাল বিভাগে। তৎকালিন বাংলাদেশ রাইফেলস্ নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে চাকুরির কারণে নাইক্ষ্যংছড়িতে তার আগমন। পরে তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের মসজিদ পাড়া এলাকার বাসিন্দা গুলাল মেম্বারের মেয়ে জোৎস্না আক্তারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সাংসারিক জীবনে তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘ইসমাঈল হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগি নেতা ছিলেন। তিনি ইতোপূর্বে দুই মেয়াদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তিনি সভাপতি পদে লড়বেন বলে ঘোষণাও দিয়েছিল। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা বলেন, ‘ইসমাঈল হোসেন আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও পারিবারিক কারণে দীর্ঘদিন অনেক টেনশনে ছিল। এ কারণে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে নিহত ইসমাঈল হোসেন তার ফেসবুক এ্যাকাউন্টে সর্বশেষ ২৯ এপ্রিল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মো. শফিউল্লাহকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিল। ওই স্ট্যাটাসে শফিউল্লাহ আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছে এবং তাকে হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কাউন্সিলরদের কাছে সঠিক নেতা নির্বাচিত করার অনুরোধও জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মো.শফিউল্লাহ বলেন, ‘ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও অনেক এমপিকে নিয়েও অনেকে আপত্তিকর মন্তব্য ও পোস্ট করছে। আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকেতো দূরের কথা যারা সরাসরিও কথা বলেন আমি কখনো তাদেরকে কিছু বলিনা। ইসমাঈল হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ছিলেন। আমরা তাকে এভাবে হারাবো কল্পনাও করিনি।