করোনার সাথে বৃষ্টিও কেড়ে নিলো এবারের ঈদ আনন্দ

fec-image

এই বছর করোনা পুরো ঈদের আনন্দটা কেড়ে নিলো। চারদিকে লাশের মিছিল। সকলের মনে ভয় এবং দুশ্চিন্তা ভর করেছে। চোখে-মুখে হতাশা। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকে বাড়ি ফিরতে পারিনি।

ঈদে ছেলে দেখেনি মায়ের মুখ, মা দেখেনি ছেলের মুখ। পরিবার থেকে বিছিন্ন অনেকে। যদি ডিজিটাল দুনিয়ায় মুঠোফোনের ভিডিও কলে পরিবারের সাথে অনেক কিছু ভাগাভাগি করা যায়। কিন্তু ঈদ বলে কথা। পরিবারের সংস্পর্শ ছাড়া ঈদ করা যে বড় কঠিন। মন যে মানতে চাই না।

এত কঠিন লড়ায়ের সময়ও যারা সকল বাঁধা-বিপত্তি এড়িয়ে বাড়িতে এসেছেন তারাও সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে পরিবার নিয়ে ঈদ পালন করছেন। বাড়ির বাইরে যাওয়ার তেমন কোন সুযোগ নেই।

যারা ফাক-ফোঁকড় বের করে বেড়াচ্ছেন বৃষ্টি তাদের সুখটা এইবার মাটি করে দিলো। ঈদের তৃতীয় দিন থেকে রাঙামাটিতে সকাল থেকে মুষল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও বৃষ্টি থামার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। করোনায় এতদিন তাদের মনে অনেক কষ্ট ছিলো। এইবার বৃষ্টি ভাসিয়ে দিলো সুখ।

চাকরীজীবী মো. জমির আজম বলেন, করোনায় যান চলাচল বন্ধ। তারপরও কষ্ট করে ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে এসেছি পরিবার নিয়ে ঈদের আনন্দটা ভাগ করে নিবো। কিন্তু বৃষ্টি মনটা ভিষন্ন করে দিলো। আর ভাল লাগছে না ঘরবন্দী থাকতে।

সরকারি চাকরীজীবী শফিল কামাল বলেন, প্রকৃতি আমাদের উপর ক্ষেপে গেছে। করোনার যাতাকলে আমরা পিষ্ট। এখন শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কারণ বৃষ্টি পাহাড়বাসীর জন্য অভিশাপ। যেকোন সময় পাহাড় ধ্বসে মানুষ মারা যেতে পারে। বিপদের উপর মহা বিপদ এসে পড়েছে।

সারাদেশের ন্যায় পাহাড়ি জেলা রাঙামাটির সকল পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপর স্থানীয়রা বাইক এবং নিজেদের পরিবহন নিয়ে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথের ধারে বসে ঈদের আনন্দটা উপভোগের চেষ্টা করছে।

কিন্তু বৃষ্টি এইবার সেইসব আনন্দটা শেষ করে দিলো। কারণ বৃষ্টিতে পাহাড় ধ্বসের শংঙ্কা থেকে যায়। তাই আজকের মুষলধারে বৃষ্টির কারণে আগামী কয়েকদিন পাহাড়ের ধারে-কাছেও যাওয়া যাবে না।

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারী করা হয়েছে। মানুষকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি পাহাড়ের খাদ থেকে সরে আসার এবং পাহাড়ে বাড়ি নির্মাণ না করার পরাপর্শ প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের জরুরী টেলিফোন নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ, করোনাভাইরাস, পর্যটন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন