কাউখালীতে এবার গণধর্ষণের শিকার মানষিক প্রতিবন্ধী শিশু!

গণধর্ষণ

কাউখালী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি:

রাঙামাটির কাউখালীতে এবার ১৬ বছরের মানষিক প্রতিবন্ধী এক শিশুকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৭ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বেতছড়ি গ্রামে এঘটনা ঘটে। প্রাণের ভয়ে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি প্রকাশ না করায় এবং থানায় কোন অভিযোগ না থাকায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারে নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতছড়ি গ্রামের বাসিন্দা দিনমুজুর মোঃ নাছিরের ১৬ বছর বয়সী মানষিক প্রতিবন্ধী মেয়ে মায়ের কাছে বিভিন্ন সময় এটা-সেটার জন্য আবদার করত। শুক্রবার সকালে একইভাবে মায়ের কাছে কিছু একটা আবদার করে। কিন্তু মা তার আবদার রক্ষা না করে তাকে বকাঝকা করে। পরে সে মায়ের সাথে অভিমান করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।

সকাল ১১টায় রাস্তায় ঘুরতে থাকা এ শিশুকে তিন নরপিচাশ মিলে একটি সিএনজিতে করে কাউখালী থেকে নয় কিলোমিটার দূরে ঠান্ডাছড়ি সেগুন বাগান নামক স্থানে নিয়ে যায়। দিনভর সেখানে তাকে গণধর্ষণ করে তিন অজ্ঞাত যুবক। রাত সাড়ে নয়টায় এক সিএনজি চালক সিএনজিতে করে প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় তাকে বেতছড়ি নামক স্থানে নামিয়ে দিয়ে যায়।

বিষয়টি বাবা মা প্রথমে বুঝতে না পারলেও শনিবার থেকে ঐ শিশুর তলপেটে মারাত্মক ব্যাথা অনুভব করতে থাকায় তাদের সন্দেহ হয়। এসময় ধর্ষিতার মা অনেক চেষ্টা করে তার কাছ থেকে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারে। প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণকারীদের চিনতে না পারলেও অজ্ঞাত ব্যক্তিরা এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য শিশুর বাবা নাছিরকে হুমকী দিতে থাকে। ফলে জান যাবে এ ভয়ে কারো নাম প্রকাশ না করে বিষয়টি গোপন রাখে নাছির ও তার পরিবার। কিন্তু সোমবার সকালে তার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাওয়ায় সকালে তাকে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা।

কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী বিভাগ না থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দ্রুত রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে রাঙামাটি থেকে ছুটে আসেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চিত্তরঞ্জন পাল। বিষয়টি নিয়ে সকাল ১১ থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কাউখালী থানায় রুদ্ধদার বৈঠক করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বেতছড়ি এলাকা থেকে আশ্রাফ (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে। ধর্ষণ ও আটকের বিষয়ে জানতে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিলু কান্তি বড়ুয়ার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন